আমাদের সিলেট ডটকম: নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশের চলমান পরিসি’তি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। জনগণের মাঝেও স্বস্তি এসেছে। বৈঠকে শান্তিরক্ষা মিশনসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। প্রেসিডেন্টের পাঁচদিনের সফরের মধ্যে বৃহস্পতিবার ছিল জাতিসংঘ পরিদর্শন ও মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক। বিকালে ম্যানহাটানের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেল থেকে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে যান আবদুল হামিদ। বিকাল চারটায় সেক্রেটারি জেনারেলের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ও মুন। শানি-রক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সৈন্য প্রেরণে শীর্ষ অবস্থানের কারণে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘ চাইলে বিশ্বের যে কোনো দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের দৃষ্টিভঙ্গি ও ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট। বান কি মুন বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মাতৃমৃত্যু ও দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসনীয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক দিকগুলোর কথা উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের আগে নিউইয়র্কে জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলো লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, আমরা সবক্ষেত্রে বাংলাদেশেরও উন্নয়ন দেখতে চাই। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসি’তিও আলোচনায় স্থান পায়। প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন নির্বাচনে অংশ না নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারকে সংলাপে বসার তাগিদ দেন। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব এহসানুল করিম জানান, জাতিসংঘের সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, শানি-রক্ষী মিশন বাংলাদেশের সৈন্য প্রেরণসহ বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রেসিডেন্টের সিনিয়র সচিব শেখ আলতাফ আলী, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ও প্রেসসচিব এহসানুল করিম এবং জাতিসংঘের পক্ষে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমিরা হক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment