আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেটে গোয়াইনঘাটের প্রতাপপুরের ১১ বছরের শিশুকে দক্ষিণ সুরমার রেলওয়ে স্টেশনস’ হোটেল বিরতিতে রেখে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় গণধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুর পিতা নিখিল পাত্র বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। নং- ১১ (২০-০৬-১৪)। পুলিশ গতকাল শনিবার এজাহারনামীয় ও গ্রেফতারকৃত ২ লম্পট, হোটেল ম্যানেজার ও হোটেল মালিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হচ্ছে-দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার কুচাই গ্রামের আতাউর রহমানের পুত্র লম্পট হুমায়ুন রশীদ (২৫), একই থানার গঙ্গানগর গ্রামের পংকি মিয়ার পুত্র লম্পট জুনেল আহমদ (২৫), বিশ্বনাথ থানার তালিবপুর গ্রামের সামছ মিয়ার পুত্র ও হোটেল বিরতীর ম্যানেজার আলমগীর হোসেন (১৮) এবং দক্ষিণ সুরমা থানার ভার্থখলা এলাকার সোয়াব মিয়ার পুত্র ও হোটেল মালিক সাজিদ মির্জা (২৮)।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুন বিকেল ৩ টার দিকে প্রিয়াঙ্কা (ছদ্মনাম) গোয়াইনঘাটস্থ তার কাকা মিঠু পাত্রের বাসা হতে জৈন্তাপুর খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ভুলক্রমে ওইদিন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলে আসে এবং পথ হারিয়ে সে সিলেট নতুন রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যায়। সেখানে লম্পট হুমায়ুন রশীদ প্রিয়াঙ্কাকে পেয়ে তার অপর বন্ধু জুনেলকে ডেকে আনে। তখন তারা দু’বন্ধু মিলে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে সারাদিন ঘুরাফেরা করে রাত ১০ টার দিকে তাকে নিয়ে তারা রেলওয়ে স্টেশনের হোটেল বিরতীতে উঠে। ষেখানে হোটেল ম্যানেজার আলমগীর রুমের ভাড়া ১শ’৫০ টাকার স্থলে ৬শ’ টাকা রুম ভাড়া নিয়ে হোটেলের ২২৩ নং রুম তাদের ভাড়া দেন। এ রুমে ১১ বছরের শিশু প্রিয়াক্কাকে নরপশুর মতো লম্পট হুমায়ুন রশীদ, জুনেল আহমদ, হোটেল ম্যানেজার আলগীর হোসেন ও হোটেল মালিক সাজিদ মির্জা মিলে রাত ১০ টা থেকে ভোররাত সাড়ে ৩ টা পর্যন- তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। তখন শিশুটি তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সুযোগে জুনেল আহমদ ও হোটেল মালিক সাজিদ মির্জা হোটেল থেকে বাহিরে পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ শুক্রবার ভোররাতে নির্যাতিত ভিকটিম প্রিয়াক্কাকে উদ্ধার করে এবং লম্পট হুমায়ুন রশীদ, জুনেল আহমদ, হোটেল ম্যানেজার আলগীর হোসেন ও হোটেল মালিক সাজিদ মির্জা গ্রেফতার করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মুরসালিন জানান, গ্রেফতারকৃত লম্পট হুমায়ুন রশীদ, জুনেল আহমদ, হোটেল ম্যানেজার আলগীর হোসেন ও হোটেল মালিক সাজিদ মির্জা গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষা-নিরাক্ষা শেষে আজ আদালতে হাজির করে তার ২২ ধারা হওয়ার কথা রয়েছে।
সিলেট হোটেলে রেখে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত ৪ জনকে আসামী করে পিতার গণধর্ষনের মামলা: জেলে প্রেরণ
Saturday, June 21, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment