আমাদের সিলেট ডটকম : প্রায় অর্ধশত বছর পর দ্বিতীয়বার বিশ্বসেরার মুকুট লাভ করতে এসে উল্টো ৫৬ বছর পর প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের শঙ্কায় রয়েছে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে রয় হজসনের শিষ্যদের। তাদের ভাগ্য এখন ঝুলছে অনেক কিন্তু ও যদির ওপর। ৪৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে শিরোপা জিততে আসা রুনি ল্যাম্পার্ডরা এখন রয়েছেন খাদের কিনারায়। প্রথম দুই ম্যাচে ইটালি ও উরুগুয়ের কাছে হেরে বিদায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে দ্য থ্রি লায়নস শিবিরে। প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে প্রথম শুরুতেই বড় ধরনের ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। পরের ম্যাচে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে উরুগুয়ের কাছে একই ব্যবধানে হেরে যায় রুনিরা। এদিন তিনটি বিশ্বকাপ খেলা রুনি বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলের দেখা পেলেও তা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। এখন অনেক কিন’ ও যদি ঘিরে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে টিকে থাকার স্বপ্ন বেঁচে থাকলেও তারও সম্ভাবনা প্রায় শুন্যের কোঠায়। ডি গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। ওই ম্যাচ জিতলে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট হয় ৩। আর হারলেই লন্ডনের ফিরতি ফ্লাইট। তবে উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিতে উড়তে থাকা কোস্টারিকাকে ধুঁকতে থাকা হজসনের শিষ্যরা মাটিতে নামাতে পারবেন কিনা সে প্রশ্ন ফুটবল প্রেমীদের। গ্রুপের বাকি দলগুলোর মধ্যে উরুগুয়ের দুই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৩। শেষ ম্যাচ দলটির প্রতিপক্ষ ইটালি। ওই খেলায় যদি উরুগুয়ে জয়লাভ করে তবে তারা সরাসরি পরবর্তী রাউন্ডে চলে যাবে। আর হারলে তাদের পয়েন্ট হবে ৩। এছাড়া প্রথম ম্যাচ জিতে ৩ পয়েন্ট ঝুলিতে জমা রাখা ইতালির বাকি দুই খেলার একটি জিতলেই দলটি সরাসরি পরবর্তী রাউন্ডে জায়গা করে নেবে। আর দুটি ম্যাচই হেরে বসলে তাদের পয়েন্ট হবে ৩। তবে সেক্ষেত্রে উরুগুয়ে বা কোস্টারিকারে মধ্যে এক দল সহজেই পরের পর্বে চলে যাবে। এতোসব কিন্তু সত্যি হলেও শেষ পর্যন্ত সম্ভাবনা থাকছে না ইংল্যান্ডের। উরুগুয়ে, ইটালি ও কোস্টারিকার মধ্যে দুটি দলের পয়েন্ট ৩ হলেও গোল সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। তবে শেষ ম্যাচে যদি বড় ব্যবধানে ইংল্যান্ড জয় পায় এবং বাকি যেকোনো দুই দল বড় ব্যবধানে হারে তবেই সম্ভাবনা রয়েছে ইংল্যান্ডের। তবে ইংল্যান্ড দলের বিশ্বকাপ মিশনে হতাশাজনক পারফরমেন্সে অতিরিক্ত আশাবাদীরাও ইংল্যান্ডের পক্ষে বাজি ধরতে রাজি হবেন না। তবু এমন মিরাকলের স্বপ্নে বুক বাঁধছেন গোটা ব্রিটেন ও সারাবিশ্বের দ্য থ্রি লায়নস’র ভক্ত-সমর্থকরা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment