আমাদের সিলেট ডটকম : এক গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোলে গ্রুপ- সি থেকে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এশিয়ান পরাশক্তি জাপানের বিপক্ষে ২-১ গোলের নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে আইভরি কোস্ট।
ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানের তারকা স্ট্রাইকার কেইসুকে হোন্ডার ১৬ মিনিটের গোলে রেসিফের পারনামবুকো এরিনাতে এশিয়ান জায়ান্টরা এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৬২ মিনিটে তারকা স্ট্রাইকার দিদিয়ের দ্রগবা মাঠে নামার সাথে সাথে আইভরি কোস্টের পুরো দলের চেহারা পাল্টে যায়। অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সার্জে অরিয়ারের ক্রস থেকে দুই গোল করে আফ্রিকান হাতিরা ম্যাচ নিজেদের করে নেয়। বৃষ্টিস্নাত মাঠে দ্রগবা যেন আইভরিয়ানদের জন্য ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ৬৪ মিনিটে রাইট ব্যাক অরিয়ারের কার্লিং ক্রস থেকে প্রথমে উইলফ্রিড বনি মাথা লাগিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান। এর দুই মিনিট পরে আবারো অরিয়ারের সেন্টার ক্রস থেকে গারভিনহো গোল করলে জাপানীজরা হতবাক হয়ে পড়ে। সেই অবস’া আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্লু সামুরাইরা। এই জয়ে আইভরি কোস্ট সি-গ্রুপ থেকে শীর্ষস’ানের জন্য কলোম্বিয়ার সাথে যোগ দিল। দিনের প্রথম ম্যাচে বেরো হরাইজন্টেতে কলোম্বিয়া ৩-০ গোলে গ্রীসকে পরাজিত করে শুভ সূচনা করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার ব্রাসিলিয়ায় সাবরি লামুচির দল দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাবটির এবং নাটালে জাপান গ্রীসের মুখোমুখি হবে।
২০০৬ এবং ২০১০ সালের ব্যর্থতার পরে এলিফেন্টসরা এবার গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুনোর জন্য বেশ জোড় প্রস-ুতি নিয়েই ব্রাজিলে এসেছে। আর রেসিফেতে প্রথম ম্যাচেই তাদের সেই প্রতিশ্রুতি চোখে পড়েছে। তার উপর হ্যামস্ট্রিং সমস্যা কাটিয়ে দলীয় অধিনায়ক ইয়াইয়া টোরে দলে ফিরে আসায় তা বাড়তি অনুপ্রেরনাও যুগিয়েছে। যদিও ম্যাচ শুরু সময় মাঠে মূল একাদশে ছিলেন না দ্রগবা। তার পরিবর্তে সোয়ানসি সিটির বনিকে বেছে নিয়েছিলেন কোচ সাবরি। মূলত শারিরীক দক্ষতার দিক থেকে কিছুটা হলেও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের তুলনায় এগিয়ে ছিল আফ্রিকান জায়ান্টরা। যদিও পেশী শক্তির কাছে পেরে না উঠলেও কৌশলগত দিক থেকে জাপানীরাই এগিয়ে ছিল। ব্লু সামুরাইদের পক্ষে যথারীতি হোন্ডা তার কৃতিত্বে ছিলেন সমুজ্জ্বল।
১৬ মিনিটে লেফট ব্যাক থেকে একটি বল বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো এসি মিলানের এই প্লে মেকারের পায়ে এসে পড়লে জোড়ালো শটে গোলরক্ষক বুবাকার ব্যারিকে পরাস- করতে সময় নেননি হোন্ডা। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতেও জাপানের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন হোন্ডা। সেটাই ছিল দক্ষিন আমেরিকান বিশ্বকাপে জাপানের প্রথম গোল। যদিও শেষ ১৬তে গিয়ে জাপানকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
পুরো ম্যাচে বৃষ্টি পিছু ছাড়েনি উভয় দলের। কিন’ এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচের সময় যতই গড়িয়েছে আইভরিয়ানরা নিজেদের ততই গুছিয়ে নিয়েছে। ফ্রি-কিক থেকে ইয়াইয়া টোরে এবং আর্থার বোকা উভয়েই জাপানীজদের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছিলেন। তবে দুরপাল্লার শটগুলোতে জাপানীজ গোলরক্ষক ইজি কাওয়াশিমার দক্ষতার পরিচয় পাওয়া গেছে। ৬২ মিনিটে লামুচি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সেরে ডিয়ের পরিবর্তে দ্রগবাকে মাঠে নামান এবং সেটাই ছিল ফ্রান্সের এই কোচের ট্রাম কার্ড। পরবর্তী চার মিনিটের মধ্যেই ডান দিক থেকে ফ্রেঞ্চ ক্লাব টলুসের ফুল ব্যাক অরিয়ারের ক্রস থেকে বনি ও গারভিনহোর গোলগুলোতে মূলত উৎসাহ যুগিয়েছিলেন দ্রগবাই। মূলত তার উপসি’তিতে আইভরি কোস্ট যেন প্রান ফিরে পায়।
জাপানকে হতাশায় ডুবিয়ে আইভরি কোস্টের জয়
Sunday, June 15, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment