সিলেট ওসমানীতে ঢুকতে গেলেও ১০ টাকা বের হতে গেলেও ১০ টাকা!

Thursday, June 19, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

দশ টাকা না দিলে রোগীর কাছে যাওয়া যাবে না। এমনকি রোগী দেখে ১০ টাকা দিয়েও ওয়ার্ড থেকে বের হতে হবে। বুধবার বিকেলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪র্থ তলায় ৬ নং মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল এমন দৃশ্য।

রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজনরা জানান, ওই ওয়ার্ডে ঢুকতে হলে গেইটম্যানকে ১০ টাকা করে দিতে হয়। পরে রোগী দেখে বা প্রয়োজন শেষে ওয়ার্ড থেকে বাহির হতে হলে আমার ১০ টাকা দিয়ে বাহির হতে হয়। গেইটম্যানদের এমন অপকর্মে ক্ষুব্ধ চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষজন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের রোগী ভর্তি করার পর কোন স্বজন যদি ওই রোগীকে দেখতে যান তা হলে একটি নিদিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়। গ্রীষ্মকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৫ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্বজনদের জন্য রোগী দেখা উন্মুক্ত থাকে। আর শীতকালে অর্থাৎ ১লা নভেম্বর থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সময়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত থাকে উন্মুক্ত। এ সময় ছাড়াও অন্য যে কোন সময়ে টিকেট নিয়ে রোগীর সঙ্গে দেখা করা যায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে এক রোগীর জন্য ১ জনই টিকেট নিতে পারবেন।

সরেজমিনে বুধবার বিকালে হাসপাতালের ৬ নং মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ওই ওয়ার্ডটির গেইটে তালা লাগানো রয়েছে। তবে গেইটে এক জন গেইট-ম্যান রয়েছেন। তিনি কাউকে প্রবেশ করতে দিতে নারাজ। তবে ১০ টাকা দিলে তিনি যে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন। তবে বাইরে আসতে হলেও তাকে পুনরায় ১০ টাকা দিয়েই বের হতে হয়।

এ ব্যাপারে ওই গেইটম্যানের সঙ্গে কথা বলেতে গেলে তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ সময় প্রতিবেদক মোবাইল দিয়ে তার ছবি তুলতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি ‘এই ছেলেটাকে ধর ধর’ বলে অন্য আরেক জন গেইটম্যানকে বলেন।

এদিকে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের কষ্টের শেষ নেই। তারা প্রতিক্ষণই কোন না কোনভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। এমনকি রোগীদের সাথে আসা স্বজনরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, তারা যদি টাকা না দেন, তবে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখে গেইট-ম্যানরা। কোন অবস্থায় রোগীর কাছে যেতে দেয়া হয় না। এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে কয়েকজন গেইট-ম্যান একত্রিত হয়ে উল্টো গালিগালাজ করেন। যার ফলে আত্মসম্মানের ভয়ে কেউ কিছু বলেন না।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License