পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের কিছু অঞ্চল প্লাবিত # সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত

Wednesday, July 9, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

প্রবল বর্ষণ ও ওজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে গ্রামীণ জনপদ ও রাস্তা-ঘাট। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার বীজতলা। এছাড়াও এ বন্যা পরিস্থিতির কারণে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জাফলং, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, পিয়াইন ও সারী নদী দিয়ে আসা ঢলে উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও,রুস্তমপুর, ডৌবাড়ি, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল,নন্দীরগাও ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে দুর্ভোগেও পড়েছেন তারা। পানিতে অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার সঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছেন। তাদের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলের কারণে জাফলং, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জ কোয়ারির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন এইসব কোয়ারির লাখো শ্রমিক। পাথর উত্তোলনকারী হাজার হাজার নৌকা তারা নিরাপদ স্থানে বেঁধে রেখেছেন।

পাথর শ্রমিক মস্তফা মিয়া ও জহির জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে শ্রমিকদের ভোগান্তি বাড়বে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, পানিবন্দি মানুষদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায় এ ব্যাপারে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি জরুরি সভা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবারের মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম জানান, বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং পানি বন্দি মানুষদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।

তোয়াকুল ইউপি সদস্য এসএম আযাদ জানান, ইউনিয়নের সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ এলাকার সকল প্রতিষ্ঠান ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বেড়েছে নদীর পানি। সীমান্ত নদীসহ জেলার সবকয়টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বেশ কিছু স্থানের নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে তাহিরপুর উপজেলার ২০টি গ্রাম পৱাবিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ (মঙ্গলবার) ২৪ ঘণ্টায় ১৯২ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, তাহিরপুর উপজেলার সোহালা, লামাপাড়া, ইয়বপুর, আমরিয়া, ছত্রিশ, ইসলামপুরসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই গ্রামগুলির গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গ্রামগুলির অধিকাংশ পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় ভেসে গেছে মাছ। তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার উপর প্রবাহিত হচ্ছে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License