আমাদের সিলেট ডটকম: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ব্রাজিল। ঘটেছে লুটের ঘটনাও। মঙ্গলবার রাতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে বাণিজ্যিক নগর সাও পাওলোতে।
পুলিশের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের লজ্জাজনক হারের পরই সাও পাওলোর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ব্রাজিলীয়রা। একটি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে চালানো হয় ব্যাপক লুটপাট।
কতটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান অবশ্য পুলিশ দেয়নি। তবে ফোলহা ডি সাও পাওলো পত্রিকার খবর, একটা ডিপোতে রাখা ২০টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। শহরের আরেকটি জায়গায় আরও তিনটি বাসে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
সাও পাওলো নগর-প্রশাসনের একজন মুখপাত্র অবশ্য এএফপির কাছে দাবি করেন, ব্রাজিলের হারের কারণেই এসব ঘটনা ঘটেছে কি না, নিশ্চিত নন তাঁরা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন- চলছে।
আগুন, লুট, নৈরাজ্য ব্রাজিলে নতুন কোনো ঘটনা নয়। এটা বরং দেশটির নিত্যসঙ্গীই। সাও পাওলো তো এমন সব ঘটনার জন্য কুখ্যাত। তবে গত রাতের ঘটনাগুলোর তাত্পর্য আলদা। যে দেশের মানুষের কাছে ফুটবল বেঁচে থাকার প্রেরণা, তাঁরা জার্মানদের কাছে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ মেনে নেবেন কীভাবে! ক্ষোভের আগুনে তো পুড়ে যাচ্ছেন তাঁরা নিজেরাও।
সাও পাওলোর ২৮ বছর বয়সী ব্রাজিল সমর্থক ফার্নান্দো হাজান বলেন, ‘এটা ১৯৫০ বিশ্বকাপের চেয়েও খারাপ। খেলায় দুভাবে হারা যায়- একটি কঠিন লড়াই চালিয়ে হারা, আরেকটি স্রেফ বিধ্বস- হওয়া। ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে খেলা এটা।’
খেলা শেষেও বহু সমর্থক বেলো হরিজন্তের এস্তাদিও মিনেইরোর বাইরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। সৈকত, পানশালা, রেস্তোরাসহ সব জায়গায় কেবলই হাহাকার। রিও ডি জেনিরোর এক পানশালায় বসে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মাইকেল গোমেজ বললেন, ‘এই বিশ্বকাপের স্মৃতি সারাজীবন কলঙ্কময় হয়ে থাকবে। ’ অনেকের ধারণা, ব্রাজিল দলের এ বিপর্যের প্রভাব পড়তে পারে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের ওপর। অবশ্য সাও পাওলোর রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্লদিও কুতো এ শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন। বলছেন, এ ক্ষোভ ‘সাময়িক’। তিনি জানালেন, ‘এক মাস পরে এ প্রভাব থাকবে কি না সন্দেহ!’
ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ব্রাজিল
Wednesday, July 9, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment