নিউইয়র্ক থেকে এনা: কম্যুনিটির অতিপরিচিত মুখ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাজমুল ইসলামকে দুর্বৃত্তরা উপর্যপুরি মুখে আঘাত এবং শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছেন। নিউইয়র্ক পুলিশ রিপোর্টের বরাত দিয়ে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান এনাকে জানান, নাজমুল ইসলামকে দুর্বৃত্তরা গত ৮ জুলাই ভোররাত ৩ টার সময় নিউইয়র্কের ওজনপার্কের নিজ বাসার দুই বৱক দূরে আটলান্টিক এভিনিউ ও ৭৬ স্টিট্রের উপর হত্যা করে চলে যায়। তিনি জানান, দুর্বৃত্তরা নাজমুল ইসলামকে আগে থেকেই ফলো করছিলো। নাজমুল ইসলাকে যেখানে খুন করা হয় তার পাশের বাড়ির ভিডিও দেখে পুলিশ উদ্ধার করেছে যে, নাজমুল ইসলাম একটি দোকান থেকে দৌড়ে দৌড়ে বের হচ্ছিলেন। দুই জন লোক তাকে অনুসরণ করছিলো। নাজমুল ইসলাম তার ফোন দিয়ে পুলিশও কল করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পুলিশকে কল করার পূর্বেই দুর্বৃত্তরা নামজুল ইসলামকে আটলান্টিক এভিনিউর ৭৬ স্টিটের উপর আক্রমণ করে। দুর্বৃত্তরা তার মুখে উপর্যপুরি আঘাত করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে গেলে তারা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। অন্যদিকে নাজমুল ইসলামের মৃত দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলে দেখে কে বা কারা পুলিশ কল করলে তাকে এম্বুলেন্সে করে জ্যামাইকা হাসপাতলে নেয়া হয়। সেখানে ডাক্তররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর খরবটিও নাজমুল ইসলামের বাসায় জানানো হয় ৯ জুলাই সকাল ৫ টায় জ্যামাইকা হাসপাতালে থেকে ফোন করে।
এদিকে পুলিশ কোন দুর্বৃত্তকে ধরতে বা চিহ্নিত করতে পেরেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বদর্বল হোসেন খান বলেন, এখনো দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা যায়নি। তাদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে নাজমুল ইসলামের নামাজে জানাজা, গত ১১ জুলাই (নিউইয়র্ক সময়) বাদ জুমা ওজনপার্কের আল আমান মসজিদে বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হয়। নাজমুল ইসলামের নামাজে জানাজায় কম্যুনিটির সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। জানাজায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স’ায়ী মিশনের প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে মোমেন. ঠিকানার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন, নিউইয়র্কস’ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মহি উদ্দিন দেওয়ান, কাজী কয়েস, যুব লীগের সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরন্নবী কমান্ডার, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জেড় চৌধুরী জুয়েল, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আজিমুর রহমান বোরহান, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান র্বহেল, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল হোসেন, সহ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম প্রমুখ। উলেৱখ্য এটি নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কম্যুনিটির জানাজাগুলোর মধ্যে বড় একটি জানাজা। জানাজায় বক্তব্য রাখেন নাজমুল ইসলামের ছেলে অনিক এবং বদর্বল হোসেন খান। অনিক তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। নামাজে জানাজা শেষে নাজমুল ইসলামের লাশ লংআইল্যান্ডে বিয়ানীবাজার সমিতির গোরস্তানে দাফন করা হয় বলে আজিমুর রহমান বোরহান জানান।
উল্লেখ্য, নাজমুল ইসলামের দেশের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের চন্দ্রগামে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি মা, দুই সন্তান ও অসংখ্য আত্মীয়- স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পুরো বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং পুলিশ রিপোর্টের পর দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পৰ থেকে আগামী শুক্রবার গুলশান টেরেসে শোক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুলকে শ্বাসর্বদ্ধ করে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে
Friday, July 11, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment