আমাদের সিলেট ডটকম ঃ
বিশ্বনাথে প্রভাবশালী এক ইউপি সদস্যের নির্দেশে নিরীহ রিকশাচালকের গোপনাঙ্গ কর্তন করে দিয়েছেন তার সহযোগীরা। গত ৭ মে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অপারেশন শেষে গোপনাঙ্গে ১০/১৫ টি সেলাই নিয়ে রিকশাচালক কফিল উদ্দিন বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এ বিষয়ে কফিল উদ্দিনের স্ত্রী লুৎফা বেগম গত ১২ মে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১১/৮৬।
মামলা সূত্র ও কফিল উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের বাসিন্দা কফিল উদ্দিনের সাথে বসতভিটার সীমানা নিয়ে একই গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে লামাকাজি ইউপি সদস্য হেলাল মিয়ার সাথে বিরোধ রয়েছে। গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেলেও হেলাল মিয়া ও তার সহযোগীরা বিচার সালিশের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কফিল উদ্দিনকে হয়রানি ও নির্যাতন করে থাকেন। গত ৭ মে দুপুরে কফিল উদ্দিন ঝড়ে উড়ে যাওয়া বসতঘরের দেয়াল মেরামত করতে গেলে হেলাল মিয়া ও তার সহযোগীরা বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে হেলাল উদ্দিন ও তার সহযোগীরা কফিল উদ্দিনকে ঘর থেকে টেনে-হিচড়ে বের করে বেদম মারধর করতে থাকে। এ সময় হেলাল উদ্দিনের নির্দেশে ধারালো ব্লেড দিয়ে কলিফ উদ্দিনের গোপনাঙ্গ কর্তনের চেষ্টা করা হয়। এতে কফিল উদ্দিনের গোপনাঙ্গে মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ সময় স্ত্রী লুৎফা বেগমকেও হামলাকারীরা মারধর করেন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে কফিল উদ্দিনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে লুৎফা বেগম বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে হেলাল মিয়া, মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াকিব উল্লাহ ও করিম উল্লাহ, মৃত আক্তারুলের ছেলে হাকিম উল্লাহ, মৃত আবদুল আহাদের ছেলে জরিপ উদ্দিন, মৃত আছাব আলীর ছেলে মুজিবুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, বিশ্বনাথ থানাপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়েরের পরদিনই পুলিশ আসামি ওয়াকিব উল্লাহকে আটক করে। বর্তমানে ওয়াকিব উল্লাহ জেলহাজতে আছেন। গতকাল সোমবার বিশ্বনাথ থানা পুলিশ তদনে-র জন্য ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেছে।
বিশ্বনাথে প্রভাবশালী ইউপি সদস্যের নির্দেশে গোপনাঙ্গ কর্তন ॥ আটক ১
Monday, May 19, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment