মো. করিম মাহমুদ লিমন, গোয়াইনঘাট:
বাংলাদেশের হতদরিদ্র ও অসহায় বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে বয়স্ক ভাতা প্রদানের সিদ্ধান- নিয়েছে সরকার। অন্যান্য রাষ্ট্রের ন্যায় আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে মনোবল জোরদারসহ পরিবারে তাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা ও নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনার লক্ষেই বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক ভাতা প্রথা চালু করে। আমাদের সমাজের অতি দরিদ্র অসহায় মানুষ জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সারাটা জীবন পরিবারের জন্য হার ভাঙ্গা খাটুনির মাধ্যমে পরিশ্রম করেন। এক সময় বয়সের ভারে ন্যুজ্ব হয়ে বৃদ্ধাবস’ায় কোন কাজ করতে না পারায় অনেক সময় পরিবার ও পরিজনের কাছে এক ধরনের বোঝা হয়ে যায় সারাজীবন পরিশ্রম করে সংসারের হাল টানা সেই ব্যক্তি। তখন হত-দরিদ্র পরিবারের বয়স্কদের চিকিৎসা ও ভরণ-পোষনের জন্য তাদের কাছে কোন অর্থ বা সম্পদ থাকে না। তখন তাদের নিজেদের কাছে অসহায় বোধ মনে হয়। ঠিক সেই সময় কিছুটা হলেও স’ানীয় সরকারের আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার মাধ্যমে বেচে থাকার একটা পথ খুঁজে পায় তারা। বাংলাদেশের ৪৫৪৫টি ইউনিয়ন পরিষদের ন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় বয়স্ক মানুষ এর সুফল পাচ্ছেন। সীমান- এলাকার এই ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন জনগণের প্রায় মানুষই দরিদ্র ও অসহায়। চূরান- হিসাব অনুযায়ী এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৭,৫৪০জন, এর মধ্যে পুরুষ ১৩,৭২৩ ও মহিলা ১৩,৮০৮ জন।
বাংলাদেশ সরকারের সঠিক ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে এই ইউনিয়নের ৭০৯ জন ব্যাক্তি (নারী-পুরুষ) বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। তবে বয়স্ক ভাতার পরিমান তুলনা মূলক কম হওয়া সত্ত্বেও অসহায় হতদরিদ্র এসব বয়স্ক মানুষের জন্য এই ভাতা তাদের চিকিৎসাসহ নানা কাজে সামান্য হলেও চাহিদা মেটাতে পারছে। প্রতিমাসে তাদেরকে মাতা পিছূ তিনশত (৩০০) টাকা হাড়ে প্রতি তিন মাস পর পর প্রদান করার কথা থাকলেও বিভিন্ন সময় তহবিলে অর্থ না থাকায় বয়স্ক ভাতা প্রতি ছয়মাস অন-র প্রত্যেককে ১৮০০ (এক হাজার অটশত) টাকা প্রদান করা হয়। এককালীন পাওয়া এই ১ হাজার ৮শত টাকা দিয়ে অসহায় দরিদ্র বয়স্ক (পুরুষ/মহিলা) মানুষটি তার চহিদার কিছু একটা অংশ মেটাতে পারেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, ১৯৯৭ সালে সারা দেশ ব্যাপী বয়স্ক মানুষের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এ ভাতা চালু করে। অনুসন্ধানে আরও জানাযায়, যে সকল পুরুষ ৬৫ ও মহিলা ৬২ বছর অতিক্রম করে তাদের ক্ষেত্রে এ ভাতা প্রযোজ্য।
পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক ভুইয়া বাবুল আমাদের সিলেট ডটকমকে জানান, সরকারের বয়স্ক ভাতার প্রথা চালু একটি যুগপযোগী পদক্ষেপ কিন’ আমার ইউনিয়নে অধিকাংশ মানুষই গরিব। এই তুলনায় আমাদের ইউনিয়নে জনসংখ্যার তুলনায় বরাদ্ধ কম হওয়ায় নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা সকলের চাহিদা মেটাতে পারছেনা ফলে অনেকেই আমাদের উপর নারাজ। তাই এই ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতা সহ সকল প্রকার বরাদ্ধের পরিমান আরও বাড়ালে সাধারন মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদ সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগে ৭০৯ জন পাচ্ছেন বয়স্কভাতা
Tuesday, August 26, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment