স্পট : শাবিপ্রবি – রাতে ফেইসবুকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, সকালে হামলা : উত্তপ্ত ক্যাম্পাস \ আরেক শিক্ষক প্রহৃত

Thursday, August 28, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেইসবুকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এবং পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে নৃশংস হামলা। ঘটনাপ্রবাহ তারও আগ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগের ছাত্র ২ ছাত্রলীগকর্মীকে গত রমজান মাসে শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঐ বহিষ্কারে ভূমিকা রাখা সন্দেহে হামলার শিকার হন শিক্ষক ড. নিয়াজ।

বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের সাথে মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের ছাত্র ওয়েছ আহমদের দীর্ঘদিন যাবত মনোমালিন্য লেগে আছে। এরই জের ধরে গত রমজান মাসে ২ ছাত্রলীগকর্মীকে বহিস্কার কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে কয়েকজন অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীর মাধ্যমে বিষয়টি আর বাড়তে দেয়া হয় নি। এরই জের ধরে বুধবার রাতে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের ছাত্র ওয়েছ আহমদের ফেইসবুকে একটি বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত কমেন্ট বিনিময় হয়। পরে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে একে অপরকে গালিগালাজও করেন। পর দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিয়াজ আহমেদ তার অফিসে শিক্ষার্থী ওয়েসকে ডেকে এনে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে ওয়েছ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তৎক্ষণাৎ ওয়েছ চাকু বের করে শিক্ষক নিয়াজ আহমেদকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে।

এদিকে, এ সব ঘটনাপ্রবাহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শাবি ক্যাম্পাস। শিক্ষককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একজন শিক্ষকের প্রাইভেট কার ভাংচুর এবং আরো একজন শিক্ষক প্রহৃত হয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সব ক্লাস-পরীক্ষা বয়কটও করেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কটের পাশাপাশি সমাজকর্ম বিভাগের দরজায় তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ভবনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. আতি উল্যাহর একটি প্রাইভেট কারের গ্লাস ভাঙচুর করে। একই সময়ে একটি ছাত্রকে মারধরে বাধা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন প্রহৃত হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে শিক্ষকদের ক্লাস বন্ধের আহ্বান জানান। যারা ক্লাস বন্ধ করতে অনীহা দেখিয়েছেন, তাদের সাথে শিক্ষার্থীদের কিছু বচসা হয়েছে। প্রফেসর আতি উল্যাহর প্রাইভেট কারের গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করে।

শাবি ঘটনার বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) রহমত উল্যাহ জানান, হামলাকারী শিক্ষার্থী ওয়েস আহমদকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় পুলিশকে জানিয়েছে. ‘শিক্ষক নিয়াজ তাকে অনেক দিন থেকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন’।

এদিকে, এ ঘটনার জেরে অনেক নিরীহ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


c1 c3





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License