আমাদের সিলেট ডটকম:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ অফিসে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ শিক্ষককে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী শিবিরকর্মী বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের এ দাবি অস্বীকার করেছে শিবির।
জানা গেছে, শাবির সমাজকর্ম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান নিয়াজ আহমেদ তার অফিসে কাজ করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে ২ যুবক তার অফিসে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। মারাত্মক আহত করে তাকে অফিস কক্ষে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত দিতে হয়েছে।
পালিয়ে যাবার প্রাক্কালে শিক্ষার্থীরা হামলাকারী মাস্টার্সের ২য় সেমিস্টারের ছাত্র ওয়েছ আহমদকে আটক করে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে। তাকেও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হামলাকারী ওয়েছ আহমদ জানিয়েছেন, দুইবছর ধরে ওই শিক্ষক তাদেরকে খুব জ্বালাতন করছেন। তাই তাকে কুপিয়ে আহত করেছে সে। ইতোপূর্বে ছাত্রলীগের ২ কর্মীর বিরুদ্ধে ঐ শিক্ষক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমিনুল হক ভুইয়া জানিয়েছেন, হামলাকারীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
এদিকে, হামলার ঘটনার পর সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের সাথে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
No comments:
Post a Comment