আমাদের সিলেট ডটকম:
নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের ডক্টরস কোয়ার্র্টারে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রধান অফিস সহকারী সজল কান্তি দেবের বাসা থেকে অঞ্জনা রানী নমঃসূদ্র (১৬) নামের কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আন্দোলনকারীদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন ভূইয়া অঞ্জনার ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করেছেন। রিপোর্টে তিনি অঞ্জনা আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। রিপোর্টের কপি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সজল কান্তি দেব এর বাসা থেকে অঞ্জনার মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরই অভিযুক্ত সজল কান্তি দেব পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নবীগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায়। ৩ দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর প্রধান অভিযুক্ত সজল কান্তি দেবকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে তাকে ধরতে ব্যর্থ হয় তারা।
এদিকে অভিযুক্ত সজল ভারতে পালিয়ে যাবার গুজবও রয়েছে শহরে।
গত ১৬ আগস্ট শনিবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের ডক্টর’স কোয়ার্র্টারে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রধান অফিস সহকারী সজল কান্তি দেবের বাসা থেকে অঞ্জনা রানী নমঃসূদ্র (১৬) নামের কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর পর তার গ্রামের বাড়ি দওগ্রামসহ নবীগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ প্রতিদিন মিছিল মিটিং করে অঞ্জনা হত্যার বিচার ও অভিযুক্ত সজল দেবকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছিলো। থানা পুলিশ প্রথমে মামলা না নিলেও পরে গত ১৯ আগস্ট সজল দেবকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা গ্রহন করে। এর র অভিযুক্ত সজল কান্তি দেব পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নবীগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায়। মামলা দায়েরের পর পর সজল দেবকে গ্রেফতার করতে তার গ্রামের বাড়ি লাখাই থানার করাব গ্রামসহ একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। তাকে দ্রæত গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, হাসপাতাল ও শহরে আলোচনা শুনা যায় সজল ভারতে পালিয়ে গেছে তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্দোলনকারীরা অঞ্জনার ঘাতককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছেন।
উলে¬খ্য, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সের কোয়ার্র্টারে বসবাসকারী প্রধান অফিস সহকারী সজল চন্দ্র দেব এর বাসা থেকে গত ১৬ আগস্ট সকালে অঞ্জনা রানী নমঃসূদ্র (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহকর্তা সজল দেব এ ঘটনাকে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন। পুলিশ ওই বাসার ড্রইং রুমের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করার সময় নিহতের গ্রামবাসী হাসপাতাল ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে পুলিশ বাধ্য হয়ে সজল দেবসহ মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসে। সাথে সাথে গ্রামবাসী থানায় জড়ো হয়ে গৃহর্কতা সজল দেবকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশ দাবি না মানায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে গ্রামবাসী। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃৃত্যুর মামলা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় নবীগঞ্জ নতুন বাজার মোড়ে অনুষ্ঠিত জনসভায় হবিগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র তার বক্তৃতায় অঞ্জনা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সজল দেবকে গ্রেফতার করার কোন সময়সীমার কথা না বললেও আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষন করেন এবং অঞ্জনা হত্যা মামলায় প্রাথমিকভাবে যে অবহেলা ছিলো সেটা কাটিয়ে যেন সঠিক বিচার নিশ্চিত করা যায় সেটাই পুলিশের একমাত্র উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন।
জনসভায় প্রধান অতিথির দেয়া বর্ক্তৃতায় আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেছেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের কল্যানের জন্য মুখে তালা দিয়ে বসে থাকার জন্য নয়। তিনি বলেন, প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে পেরেছি। এখন আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আইনের মধ্যে থেকে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, সজল কে? তার খুঁটির জোর কোথায়? তাকে ধরতে দুর্বলতা কোথায়? তাকে ধরতে গেলে কিভাবে তার কাছে খবর পৌঁছে যায়। তিনি অঞ্জনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সকলকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ আত্মহত্যা নয়, অঞ্জনাকে হত্যা করা হয়েছে
Thursday, August 28, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment