আমাদের সিলেট ডটকম: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভুয়া ভোটার এখন একটি কাল্পনিক বিষয়। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ব্যবস্থাপনা (ক্যান্ডিডেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস-কেএমএস) এবং ফলাফল ব্যবস্থাপনা (রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস-আরএমএস) শীর্ষক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে ক্যান্ডিডেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (কেএমএস) ও রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (আরএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত কার্যক্রম ছিলো মূলত পরীক্ষামূলক। এর সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শেষে একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া গেলে সফটওয়ার দু’টি পদ্ধতিগতভাবে পুরোদমে কাজে লাগাতে সক্ষম হবো। এটি কার্যকর হলে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলন, দাখিল, প্রত্যাহার এবং হলফনামাসহ যে কোনো তথ্য আপডেট করার পরই কমিশনে বসেই দেখা যাবে। ভোট গণনার ফলাফলও পাওয়া যাবে ঘোষণার পরপরই। তখন ফলাফল প্রকাশ নিয়ে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ থাকবে না। এসময় তিনি প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি ও ফলাফল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পুরোপুরি রপ্ত করাতে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বে স্বীকৃত। উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে কমিশনকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা চলছে। এজন্য নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দেশ বিদেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ১৯৮২ সাল থেকে ইভিএম ব্যবহূত হচ্ছে। সমপ্রতি আমরা ইভিএম ব্যবহার শুরু করেছি। বিগত নির্বাচনে কয়েক জায়গায় ইভিএম ভোট নিয়ে ত্রুটির কারণে আপাতত এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্রুটি সারিয়ে আগামী নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভুয়া ভোটার এখন এক কাল্পনিক বিষয়। ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টের মধ্য দিয়ে কমিশন এই বিষয়টি সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। একই ব্যক্তির দু’জায়গায় ভোটার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এরপরও কমিশন বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি এবং দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সারা দেশে কাজ করছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখানে ডি লিমিটেশনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। স্থানীয় সরকার মস্ত্রণালয় এই কাজটি করছেন। তারা কাজটি শেষ করে কমিশনকে জানালে তিন চার মাসের মধ্যেই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সহকারী সচিব জেসমিন টুলি, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রাজশাহীর সিনিয়র নির্বাচন কর্মকতা সাইফুল ইসলাম।
ভুয়া ভোটার এখন একটি কাল্পনিক বিষয় : সিইসি
Tuesday, September 9, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment