পত্রিকা অফিসে হামলার জের:দুই এলাকাবাসীর সংঘর্ষে হবিগঞ্জ শহর রণক্ষেত্র ॥ আহত শতাধিক

Thursday, September 11, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

হবিগঞ্জে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে হামলা, ভাংচুর ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুই এলাকাবাসীর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়। এর মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় শহরের প্রবেশমুখ শায়েস্তানগর, ঈদগাহ ও দুই নং পুল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাতে শায়েস্তানগর এলাকার কতিপয় যুবক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা লোকালয় বার্তা অফিসে হামলা চালায়। এ সময় অফিসের আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ মালামাল ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীরা পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম সোহেলকে কুপিয়ে আহত করে। হামলায় আহত হয় পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক শায়েল (২৬), পত্রিকার স্টাফ সোহাগ আহমেদ (২২), চারলি আহমেদ (২৪) ও আল-আমিন (১৬)। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর সোহেলের গ্রামের বাড়ি শহরতলীর বহুলায় জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে ছুটে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আবারও ফিকল, টেটা, বল্লম, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ প্রস’তি নেয়। একপক্ষ শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্টে এবং বহুলা গ্রামবাসী ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে একে অপরকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এ সময় তারা ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বেলা ১১টায় ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ প্রথমে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে দাঙ্গা থামানোর চেষ্টা চালায়। এদিকে ক্রমেই সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। শেষ পর্যন্ত অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৯২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২৭ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। বেলা ১টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষে উল্লেখিত সংখ্যক লোক আহত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ এমরান, নাসিম ও রবিউল আলমকে সিলেট প্রেরণ করা হয়। এছাড়া সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) দেওয়ান মোঃ নূরুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল লতিফ, কুসুম চন্দ্র সূত্রধর, কর্ণমনি, কনস্টেবল ইয়াসির আরাফাত, আনিছ, জাকির হোসেন, কৃষ্ণ এবং উভয় এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ আব্দুস ছাত্তার, বাবুল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, গাউছ মিয়া, আব্দুল মালেক, সামছু মিয়া, জুয়েল, রুবেল রানা, আক্তার মিয়া, জীবন মিয়া, শাহীন মিয়া, রফিক মিয়া, জিতু মিয়া, ফজলুল হক, পারভেজ মিয়া ও আক্কল আলীকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু গ্রেফতার এড়াতে অধিকাংশই সদর হাসপাতালে আসেনি।স্থানীয়রা জানায়, সংবাদ ছাপা না ছাপা নিয়ে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সিতু মিয়ার সাথে বিরোধ দেখা দেয় সোহেলের। এর জের ধরে ওই হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License