আমাদের সিলেট ডটকম:
নবীগঞ্জের আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার থেকে দিন দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফিল্মি ষ্টাইলে ৮/১০জনের এক দল দূর্বৃত্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অসহায় দিন মজুর বশর মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন অতঃপর গুম করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উক্ত বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ফখরুল ইসলাম জুয়েলকে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকরি কমিটির এক জরুরী সভায় বাজারের শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় দায়ে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুর্শেদ আহমেদ এর কার্যালয়ে ও তার সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক জাহান চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্বান্ত গৃহিত হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। অপর দিকে ২ সপ্তাহ ধরে প্রভাবশালী বাহিনী কর্তৃক দিন দুপুরে গুম হওয়া বশরের আজও কোন সন্ধান বা তাকে উদ্বার করতে পারেনি নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আবিদ আলী বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে গভীর রাতে মুক্তিযোদ্ধার লিখিত এজাহার পরিবর্তন করে রহস্যজনক ভাবে থানা পুলিশ আসামীদের পক্ষালম্বন করে মামলা এফ.আই.আর ভূক্ত করার অভিযোগ তুলে এর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আবিদ আলীও সচেতন নাগরিকরা। উলেখ্য, গত ২৭শে আগষ্ট বুধবার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার হইতে দিন দুপুরে ফিল্মি স্টাইলে দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের প্রভাবশালী মানিক মিয়া ও তার লোকজন জোর পূর্বক জিম্মি করে গাড়ী যোগে দাউদপুর গ্রামের মৃত মতলিব উল্লাহর পুত্র বশর মিয়া (৪৫) নামের ব্যক্তিকে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে একটি ফিকাপ ভ্যানে হাত পা বেধেঁ বাড়িতে তুলে নিয়ে একটি কক্ষে আটক করে অমানবিক নির্যাতন ও গুম করার অপরাধে প্রভাবশালী মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই এলাকার উমরপুর গ্রামের বীর মুক্তি যোদ্ধা শাহ আবীদ আলী বাদি হয়ে নবীগঞ্জ থানায় নির্যাতন কারীদের বিরুদ্ধে গত ৩০ আগষ্ট শনিবারে মামলা দায়ের করেন। তবে মুক্তিযোদ্ধার লিখিত এজাহারকে গভীর রাতে রহস্যজনক ভাবে পরির্বতন করে মামলা এফ.আর.আই ভূক্ত করে থানা পুলিশ অভিযোগ করেন মামলার বাদী ওই মুক্তিযোদ্ধা। ওই মামলার প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ আউশকান্দি বাজারে অভিযান চালিয়ে মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এর পরদিন অপর কয়েকজন আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন। পুলিশের হাতে ধৃত মানিক মিয়াও একদিন কারভোগের পর জামিন পায়। এতে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকায় চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। গুম হওয়া বশরের পরিবারের লোকজন ও তার বৃদ্ধা মাতা ছেলের ওই ঘটনায় আজও বুঝতে পারছেন না তার ছেলেকে প্রভাবশালীরা নির্যাতন করে বাঁচিয়ে রেখেছে না মেরে ফেলেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আবীদ আলী বলেন, আমি গত ৩বছর ধরে ওই অসহায় বশর মিয়াকে নিজের ছেলের মতন ভরণ পোষন করেছি। প্রভাবশালীদের ভয়ে সে গ্রাম ছেড়ে আমার বাড়িতে থেকেও ওদের কবল থেকে রেহাই পেল না।
নবীগঞ্জে ব্যবসায়ী নেতা বহিষ্কার
Wednesday, September 10, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment