আমাদের সিলেট ডটকম:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মেয়কে গনধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরিদ্র পরিবারের এক তরুণীকে সাত লম্পট বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন শেষে বাড়ির কাছেই ফেলে যায় পাষন্ডরা। মুমূর্ষু অজ্ঞান অবস্থায় ওই তরুণীটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার। বড়লেখা হাসপাতালে সে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অপহরন ও ধর্ষন চেষ্টার মামলা করেছে। মামলা নং-৩ তারিখ, ০৫/০৩/২০১৪ইং। তবে সুত্র জানায় পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তাহীনতার কারনে ও প্রভাবশালীদের চাপে মেয়টি সঠিক তথ্য আড়ালে রেখে থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অপহরন ও ধর্ষন চেষ্টার মামলা করেছে।
নির্যাতিতার পরিবার, এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে উপজেলার বিছরাবন্দ পাঁচপাড়া গ্রামের দিন মজুর আব্দুল মতলিবের ঘরে ঢুকে স্থানীয় সিরাজ উদ্দিনের মাস্তান প্রকৃতির বখাটে ছেলে মাছুমের নেতৃত্বে ৭ লম্পট। তরুণী মেয়েকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যায়। বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে রাতভর পাশবিক নির্যাতন শেষে ভোর রাতে বাড়ির পাশে ফেলে যায়। মুমূর্ষু ও অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বুধবার বিকেলে ভিকটিম অপহরন ও পাশবিক নির্যাতনকারী মাসুম আহমদ, সালেক আহমদ, আনোয়ার উদ্দিন, আব্দুস শুকুর, শামীম আহমদ, কবির আহমদ ও সাবুল আহমদের বিরুদ্ধে অপহরন ও ধর্ষন চেষ্টা মামলা করলে পুলিশ বুধবার রাতে বিছরাবন্দ গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে সালেক আহমদ ও বোবারথল গ্রামের আজিব উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদকে গ্রেফতার করে। মেয়টির পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্বীয়স্বজনের সাথে কথা বললে তাদের কন্ঠস্বরে আতংক ও চোখে মুখে ভয়ার্তের চাপ লক্ষ করা যায়।
বড়লেখা থানার এসআই মাহবুবুর রহমান জানান, নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সালেক ও শামীমকে বৃহস্পতিবার আদালতে চালান করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন।
বড়লেখায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণীর উপর পাশবিক নির্যাতন : আটক ২
Thursday, March 6, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment