৩০০ টাকা মজুরি সহ বিভিন্ন দাবীতে চা শ্রমিক সংঘের মিছিল ও স্মারক লিপি পেশ

Sunday, April 20, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকা, সরকার ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী উৎস বোনাস। স্ব-বেতন সাপ্তাহিক ছুটি। অতিরিক্ত কাজের মজুরি ও পূর্ণাঙ্গ রেশন। চা শ্রমিক সন্তানদের এইচ এস সি পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। পাতির ওজনে কারচুপি বন্ধ। সকল বাগানে এম বি বি এস পুরষ ও মহিলা ডাক্তার প্রদান, চা শিল্পে শ্রম আইন কার্যকর। চা শ্রমিক সন্তানদের বিনা বেতনে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থা। প্রত্যেক বাগানে কলেজিয়েট স্কুল স্থাপন। চা শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষা লাভের পূর্ণ নিশ্চয়তা। শ্রম আইন বাস্তবায়ন সহ স্থানীয় বিভিন্ন দাবীতে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের শাখা সংগঠন চা শ্রমিক সংঘ সিলেট ভ্যালী কমিটির উদ্যোগে রোববার সকাল ১১ টায় সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সকাল ১০ টায় মালনিছড়া চা বাগানে পূজা মন্ডপ প্রাঙ্গনে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরিত স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন চা শ্রমিক সিলেট ভ্যালী কমিটির নেত্রী রাধামনি মুন্ডা। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- চা শ্রমিক নেত্রী রাধা মনি মুন্ডা, বিমল গঞ্জু, জয়মাত্ম কুর্মি, সুনিল মুধী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নুরুল হুদা সালেহ। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, চা শ্রমিক সহ এদেশের শ্রমিক, কৃষক, মেহনতী জনগন আজ এক নিধারুন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। তীব্র শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে, খাদ্য অভাবে, স্বাস’্যসম্মত প্রয়োজনীয় বাসস’ানের অভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হয় চা শ্রমিকদের। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা উপেক্ষা করে মালিকের মুনাফার জন্য খেটে মরছে এদেশের চা শ্রমিকরা। দুঃখ, কষ্টে জীবন জীবিকার প্রশ্নে চা শ্রমিকদের প্রেক্ষিতে মালিক পক্ষের কোন নজর নেই। চাল, ডাল, তেল, লবন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। শীত মৌসুমেও শাক সব্জির মাত্রা অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি শ্রমিক জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে নুন্যতম মজুরী ৩০০ টাকা নির্ধারন করার দাবী থাকলেও মজুরী দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৬৯ টাকা। মালিক পক্ষ বিভিন্ন জনকে রেশন প্রদানের কথা বললেও মাত্র ৩ কেজি চাল ছাড়া আর কিছু শ্রমিকদেরকে দেওয়া হয় না। তাই শ্রমিকরা পূর্ণাঙ্গ রেশনের দাবী করেছেন। চাল, ডাল, তেল, লবন, মশলা সহ পূর্ণাঙ্গ রেশন থেকে চা শ্রমিকদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০১৩ এর বিধান মতে স্ববেতন ও সাপ্তাহিক ছূটি থেকে চা শ্রমিকদেরকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। এক মাসের বেতনের সম পরিমান দুটি উৎসব বোনাস ও একটি উৎসাহ বোনাসের নিয়ম কার্যকরী হচ্ছে না। তিন মাস কাজের পর চাকরী স্থায়ী করার অধিকার আজও বাস্তবায়ন হয় নি। চা শিল্প সহ ছোট ছোট বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও সিলেটে একটি স’ায়ী শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা হয় নি। স্মারকলিপিতে চা শ্রমিকদের উল্লেখিত দাবী নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। স্মারকলিপি প্রদান শেষে কোর্ট পয়েন্টে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এনডিএফ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ডা: এম এ করিম। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট কুমার চন্দ্র রায়, চা শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার রাজ দেও কৈরি, বিপ্লব মাদ্রাজী পাশী, হিলুয়াছড়া বাগান নেতা বিমল গঞ্জু, কালাগুল বাগান নেতা ভাসান ছত্রী, লুবাছড়া বাগান নেতা অরুন বাউরি, তারাপুর নেতা সুনিল মুদী, গুলনি চা বাগান নেতা গঙ্গা কাকতী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সুজন মিয়া। বক্তার বলেন, মহাজোট সরকারের শ্রমমন্ত্রী চা শ্রমিকের মজুরী দৈনিক ১৫০ টাকা প্রদানের কথা বলেছেন। কিন্তু মালিক পক্ষ তাদের মতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আজ চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি সহ প্রচলিত শ্রম আইনের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করার দায়িত্ব হচ্ছে সরকার এবং মালিকের।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License