সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর দলীয় কার্যক্রম চাঙ্গা-ভাব বিরাজ করছে

Thursday, April 24, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

নবগঠিত সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকল উপজেলার সম্মেলন শেষ করতে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের দুই বছর পর হঠাৎ করেই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সিলেটের ১২টি উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের কাজে গতি ফিরে এসেছে। প্রতিটি উপজেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার নগরীর আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে আহ্বায়ক কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিএনপি সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং সকল উপজেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকগণ ও উপস্থিত থাকবেন। আজকের সভা থেকেই উপজেলা সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমার শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এম ইলিয়াস আলীকে সভাপতি দিলদার হোসেন সেলিমকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, এডভোকেট নুরুল হককে সহ-সভাপতি, এডভোকেট আব্দুল গফফারকে সাধারণ সম্পাদক এবং আলী আহমদকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সম্মেলনে বর্তমানে স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল এম ইলিয়াস আলী ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর জেলা বিএনপির কার্যক্রমে কিছুটা স্থিতিভাব চলে আসে। জেলা ও মহানগর বিএনপি কিছুদিন এক সারিতে এসে ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবীতে আন্দোলন করলেও বছর খানেক পর সিলেট বিএনপিতে বিরোধ প্রকাশ্য রুপ লাভ করে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরীর সাথে ইলিয়াসপন্থীদের বিরোধ প্রকাশ্য রুপ লাভ করে। সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সিলেট বিএনপিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। নগরীতে শমসের মবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঝাঁড়ু মিছিলও হয়। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেট বিএনপিতে চলে আবিষ্কার বহিষ্কার খেলা। সকালে বহিষ্কার খেলা।সকালে বহিষ্কার বিকেলে আবিষ্কার। এমন অবস্থায় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করে। তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা ভেঙ্গে গড়ে। দলের কার্যক্রমে নেমে আসে স্থবিরতা। সিলেট বিএনপিতে যখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা ঠিক তখনই গত ১৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এডভোকেট নুরুল হককে আহ্বায়ক এবং দিলদার হোসেন সেলিম, এডভোকেট আব্দুল গফফার আলী আহমদ, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট সামছুজ্জামান জামান, এমএ মান্নান এবং এমরান আহমদ চৌধুরীকে যুগ্ম আহ্বায়ক কারে কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া কমিটিতে আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সদস্য রাখা হয়। ইলিয়াস পন্থী তাহমীনা রুশদীর লুনাকে। ৪৫ দিনের মধ্যে সকল উপজেলা কমিটির কাউন্সিল সম্পন্ন করে জেলা বিএনপির কাউন্সিল আয়োজন করতে এ কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে সিলেট জেলা বিএনপির আগামী কমিটিতে করা স্থান পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলাপ আলোচনা। কারা আসতে পারেন এ কমিটিতে তা নিয়ে নেতাকর্মীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি পদে এম ইলিয়াছ আলী কি স্বপদে বহাল থাকবেন, না দি অন্য কাউকে সভাপতির পদ দেয়া হবে সেই হিসাব কষছেন নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ যেহেতু দলের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে অন্য কাউকে সভাপতি নির্বাচিত করা উচিত। এ ক্ষেত্রে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কোন নেতা আসতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টতা অভিমত দিয়েছেন। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসতে পারে চমক এমনটি মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License