মাগুরছড়া বিষ্ফোরণের ১৭ বছর বন ও পরিবেশের ৰতির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশসহ ৰতিপূরণের দাবীতে বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন

Saturday, June 14, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

মাগুরছড়া গ্যাস ৰেত্রে বিষ্ফোরণের ১৭ বছর পূর্তিতে বন ও পরিবেশের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশসহ ৰতি পূরণের দাবীতে বিভিন্ন সংগঠন মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে। গতকাল ১৪ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায়টায় মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যাণের ভিতর মাগুরছড়া গ্যাসৰেত্র এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মাগুরছড়া গ্যাস ৰেত্রে অক্সিডেন্টাল কোম্পানী গ্যাস উত্তোলনের খননকালে ১৯৯৭ সনের ১৪ জুন মধ্যরাতে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ঘটেছিল।

মাগুরছড়া গ্যাস ৰেত্রের সামনের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল প্রধান সড়কধারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালনে অংশ গ্রহন করে কমলগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ, কমলগঞ্জ মহিলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও আদিবাসী খাসিয়ারা। মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে কমলগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি এম এ ওয়াহিদ র্বলু, মহিলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নেত্রী হাবিবা সুলতানা বিলকিছ, সিলেট বিভাগ আদিবাসী ফোরাম নেতা খাসিয়া হেডম্যান জিডিসন সুচিয়াং প্রধান,সাংবাদিক প্রণীত রঞ্জন দেবনাথ ও শিৰক আলমগীর হোসেন সরকারের কাছে জোর দাবী করে বলেন, ১৯৯৭ সনের বিষ্ফোরনের পর তদন্ত করেও দীর্ঘ ১৭ বছরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। সরকারের উচিত মাগুরছড়া গ্যাসৰেত্রে বিষ্ফোরণে ৰয়ৰতির সঠিক তথ্যসহ প্রতিবেদনটি দেশ বাসীর কাছে প্রকাশ করা। সাথে সাথে দায়িত্বে অবহেলায় ঘটা বিষ্ফোরণে মার্কিন বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানী অক্সিডেন্টালের কাছ থেকে সে ৰতি পূরণ আদায় করা। বক্তারা আরও বলেন, কমলগঞ্জের প্রতিটি গ্রামে ঘরে ঘরে গ্রাস সুবিধা দিতে হবে। আগামীয় এসব দাবী আদায়ে সবগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা করা হবে। দীর্ঘ ১৭ বছরে মাগুরছড়া গ্যাস ৰেত্র হাত বদল হয়ে ইউনোকল ও বর্তমানে শেভরনের হাতে গেছে।

উলেৱখ্য মাগুরছড়া গ্যাস ক্ষেত্রে ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সংরক্ষিত বনাঞ্চল, আখাউড়া-সিলেট রেল সেকশনের রেল পথ, ফুলবাড়ি চা বাগান,কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক জনপথের প্রধান সড়ক. মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির বাড়ি ঘর, পান জুম এলাকা ও পিডিবির ৩৩ হাজার কেভি প্রধান বিদ্যূৎ লাইনের। বিষ্ফোরণের পর পরই দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে বিদ্যুৎ , জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব মাহফুজুল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এক মাসের মধ্যে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই মন্ত্রনালয়ের তৎকালীন সচিব ড. তৌফিক-ই এলাহির কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স’ায়ী কমিটি বিষ্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতি নির্বপন, ক্ষতিপূরণ পাওয়া ও বিতরণের বিষয়ে তদন্ত কমিটির ৩ সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করেছিল। দায়িত্ব পালনে অক্সিডেন্টালের ব্যর্থতার জন্যই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন অভিমত প্রকাশ করেন তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ। তাদের কাছে অক্সিডেন্টালের ১৫/১৬ টি ত্র্বটি ধরা পড়েছিল। তৎকালীন তদন্তকারী কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বন পরিবেশ, বিদ্যূৎ, সড়ক, রেলপথ ও গ্যাসের মোট ৰতির পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বলে সংশিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License