আমাদের সিলেট ডেস্ক : সাড়ে তিন বছরের বন্দিদশা থেকে অবশেষে সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে হতভাগ্য ৭ বাংলাদেশী নাবিক। স’ানীয় সময় গত শুক্রবার রাতে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার ঢাকার পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের বহিপ্রর্চার অনুবিভাগের পরিচালক (গণমাধ্যম) নৃপেন্দ চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী এমভি আলবেদো থেকে ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর তাদের অপহরন করেছিল সোমালীয়দস্যুরা। মুক্তি পাওয়ার পরপরই জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক ব্যুরোর একটি বিশেষ বিমানে তাদের কেনিয়ার নাইরোবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আনা হয়। সেখানে দূতাবাসের বাংলাদেশী কর্মকর্তারা তাদের গ্রহণ করে নাইরোবির আগাখান হাসপাতালে প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য পরীৰা করান। তবে হাসপাতাল কর্তৃপৰের রিপোর্টে তাদের বিশেষ কোনো অসুবিধা ধরা পড়েনি। তাদের দেশে পাঠানোর জন্য যাবতীয় কাগজপত্র ঠিক করার প্রক্রিয়া চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মুক্তি পাওয়া ৭ জনের মধ্যে সাতক্ষীরার ৪ জন, চট্টগ্রামের দুই জন এবং চাঁদপুরের ১ জন রয়েছেন। শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার পরই তারা সবাই পরবিারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন। ২০১০ সালে অপহরন হওয়ার পর এ নাবিকদের এমভি অলবেদোতই রাখা হয়ে ছিল। পরে গত বছরের ৭ জুলাই জাহাজটি ডুবে গেলে তাদের অপর একটি জলদস্যু বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়, এর পর থেকে তারা ওই চক্রটির মাছ ধরা ট্রলারে ছিলেন। গত শুক্রবার রাতে তাদেরকে গালচাও নামক স্থানে মুক্তি দেওয়া হয়। গত দুই বছর ধরে এ নাবিকদের পরিবারকে প্রতিমাসে ২শ’ ড্রলার করে অর্থ সহায়তা দেয় মেরিটাইম পাইরেসি অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ান রেসপন্স প্রোগ্রাম। এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্রসীমা বিষয়ক) রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খোরশেদ আলম বলেন, মুক্তি পাওয়া এই নাবিকদের ফিরে পেতে জাতিসংঘ ও ব্রিটেনের সহযোগিতা ছিল। তাদের সহযোহিতা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎপরতার কারণে দস্যুদের মুক্তিপন না দিয়েই তাদের ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে তাদেরকে দেশে আনার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment