আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ছাত্রলীগ নেতা সৌমেন- ‘পেটালেই যে তাওহীদ মারা যাবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি’

Sunday, June 8, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

প্রাণে মারার জন্য আমরা তাওহীদকে পেটাইনি। কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাফি তাকে বেশী পিটিয়েছে। পেটালেই যে তাওহীদ মারা যাবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এমন কথা বলেছেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন দে।

আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিমের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে সৌমেন এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

একাধিক সূত্রের সাথে কথা বলে আমাদের সিলেট ডটকম’র আদালত প্রতিনিধি জানতে পেরেছেন, ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক ঐ জবানবন্দিতে সৌমেন দে ছাত্রদল নেতা তাওহীদুর রহমানকে আটকের পূর্বাপর ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইতোপূর্বেও যারা ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মকান্ড করার চেষ্ট করেছে, তাদেরকে ধরে ‘সাইজ’ করা হয়েছে। তাওহীদ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় তাকে শায়েস্তা করা জরুরী হয়ে পড়েছিল। এ কারণে কলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফি তাকে টেলিফোন করে আবু সিনা ছাত্রাবাসে আসতে বলে। তাওহীদ সেখানে আসার পর রাফিসহ বেশ কয়েক জন তাকে মারধর করে। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে তিনি (সৌমেন দে) ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাইও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন সৌমেন। এ ঘটনায় জড়িত অপরাপর ছাত্রলীগ কর্মীদের নামও আদালতকে সৌমেন জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে প্রায় আধা ঘন্টার জবানবন্দি শেষে সৌমেনকে জেল হাজতে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

এর আগে ১ম দফায় আদালতে হাজির করা হলেও পরে আদালত বিকেলে তার ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে জানালে পুনরায় তাকে সৌমেনকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৫টায় তাকে পুনরায় আদালতে আনা হয়।

প্রসঙ্গত: ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের কর্মী তাওহীদুর রহমান গত বুধবার নগরীর রিকাবীবাজারস্থ আবু সিনা ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের নির্মম প্রহারে নিহত হন।


m2





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License