আমাদের সিলেট ডটকম:
সংরক্ষিত কোটার এমপি সৈয়দা জেবুন্নেসা হক ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পত্নী আসমা কামরানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
বহুল আলোচিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) মামলায় সাক্ষী না দেয়ায় বুধবার দুপুরে সিলেটের জননিরাপত্তাবিঘ্নকারী দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুল ইসলাম মহিলা সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের চার নেত্রীর নামে সমন জারি করে আগামী ৬ই মে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষী প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের সমনপ্রাপ্তরা হলেন মহিলা সংসদ সদস্য জৈবুন্নেছা হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী আসমা কামরান, সিলেট নগরীর পূর্বমিরাবাজারের ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী রুবি ফাতেমা ইসলাম ও আগপাড়া মৌসুমী এলাকার এমএবাছিতের স্ত্রী ছালমা বাছিত।
২০০৪ সালের ২৪ মার্চ বিকাল ৪টায় সিলেটে মহিলা আওয়ামী লীগের সভা ছিল নগরীর তাঁতিপাড়াস্থ আওয়ামী লীগ নেত্রী ও মহিলা সংসদ সদস্য জৈবুন্নেছা হকের বাসায় এ সময় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যরা বাসায় বোমা হামলা চালালে জৈবুন্নেছা হক, আসমা কামরান, সালমা বাছিত, রুবি ফাতেমা ইসলামসহ সিলেট মহিলা আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ নেত্রী আহত হন।
এ ব্যাপারে সাংসদ জৈবুন্নেছার স্বামী এনামুল হক বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা নম্বর ৭৪(১২)০৪ইং করেন।
মামলাটির তদন্ত শেষে জেএমবির মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, মফিজুল ইসলাম মইজ উলাহ ও মুফতি মঈন উদ্দিনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গতকাল মামলাটির সাক্ষীর জন্য তারিখ ধার্য ছিল এবং জেএমবি নেতা দেলাওয়ার হোসাইনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। কিন্তু কোন সাক্ষী না আসায় ৬ মে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে জৈবুন্নেছা, আসমা কামরান, রুবি ফাতেমা ইসলাম ও ছালমা বাছিতের নামে সমন ইস্যু করা হয়।
এদিকে, মামলায় স্টেট ডিফেন্স পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী শাবানা ইসলাম স্টেট ডিফেন্স পক্ষ থেকে অব্যাহতির আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে মামলায় স্টেট ডিফেন্সের জন্য আইনজীবী আকসার বক্স জাহাঙ্গীরকে নিয়োগ দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment