কমলগঞ্জে নতুন চা পাতা উত্তোলন শুরু; পরিমিত বৃষ্টিপাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে

Saturday, April 12, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

সারা বছর যেন মিলে পরিমিত বৃষ্টি। আর খড়া ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে যেন চা শিল্প থাকে মুক্ত, সৃষ্টিকর্তার কাছে এই কামনা করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা বাগানে শুরু হয়েছে নতুন বছরের পাতা উত্তোলন। নতুন পাতা উত্তোলনের আনন্দে বাগানে বাগানে চলছে দোয়া, শিরনী বিতরণ ও পূর্জাচনাসহ নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি। আর বছরের শুরুতে ভালো পাতা পেয়ে খুশি চা শিল্প সংশিৱষ্টরা।

সারা বছর পরিমিত বৃষ্টি পাওয়া এবং খরা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে যেন চা শিল্প মুক্ত থাকে এই প্রত্যাশা নিয়ে শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শ্রী গবিন্দ্রপুর চা বাগানে পাতা তুলার কাজের উদ্বোধন করেন বাগানের মালিক বিশিষ্ট সমাজসেবক, চা কর ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসীন মিয়া মধু। এসময় বিভিন্ন চা বাগানের মালিক, চা বাগান ব্যবস্থাপক, চা শ্রমিক নেতা উপসি’ত ছিলেন। তার ঘোষনার পরপর সেকশনের ভেতরেই বাগানের মসজিদের ইমাম দোয়া পড়ান। অন্যদিকে যারা সারা বছর পাতা তুলবে তারাও মাঙ্গলিক প্রতিধ্বনি উলুধনি দিয়ে শুরু করেন পাতা চয়নের কাজ। পাতা চয়ন শেষে তা আসে ফ্যাক্টরীতে। সেখানে বাগান মালিক মেশিনে পাতা দিয়ে উদ্বোধন করেন ম্যানু ফেকচারিংএর কাজ। পরে বাগানের সকল শ্রমিকের মধ্যে বাগান মালিক মহসীন মিয়া মিষ্টি বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে পাতা চয়ন বন্ধ হয়ে যায় এবং মার্চ পর্যন্ত গাছের পরিচর্যা ও ফেক্টরীর মেন্টেইনেন্স শেষে শুরু হয় নতুন করে উৎপাদন। এসময় চা কররা আশা প্রকাশ করেন চলমান আবহাওয়ার মতো সারা বছর অনুকুল আবহাওয়া পেলে এবছর তাদের লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি চা উৎপাদন হবে। ডিসেম্বরে চা গাছের মাথা কেটে দেয়ার প্রায় ৪ মাস পর মৌলভীবাজারের চা বাগান গুলোর গাছে গাছে এখন শুধু সবুজ পত্রমঞ্জুরী। শ্রমিকরা পাতা তুলতে গিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভরে যাচ্ছে হাত। বেশি পাতা তুলতে পেরে হাজিরা পাবেন বেশি আর এ ভাবে যেন সারা বছর পাতা তুলতে পারেন সেজন্য ঘরে ঘরে তারা করছেন পূর্জাচনা। করছেন দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরন।

চা কর মহসীন মিয়া মধু জানান, বছরের এ দিনে তারা মালিক শ্রমিক ভুলে গিয়ে সকলে মিলিত হন প্রার্থনায়। এদিকে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারলেন মো. আব্দুস সালাম খান সাংবাদিকদের জানান, নিয়ম মেনে গাছের পরিচর্যা করলে একটি চা গাছ ৬০ বছর ধরে ফসল দিবে। তাই সকলেকে এ বিষয়ে রাখতে হবে সজাগ দৃষ্টি।

বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান সাফওয়ান চৌধুরী বলেন, তার ধারনা পরিমিত বৃষ্টিপাতে এবছরও গতবছরের ন্যায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বছরের শুরুর মতো সারা বছর চায়ের অনুকুল আবহাওয়া বজায় থাকলে চলমান বছরে রেকর্ড পরিমান চা উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ শিল্প সংশ্লিষ্টরা।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License