আমাদের সিলেট ডটকম:
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশ্বনাথের যুবক হামিদুর রহমান (২০) এর গ্রামে বাড়িতে নেমেছে শোকের ছায়া। হামিদুরের মৃত্যূর খবরে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত তার পরিবারে চলছে কান্নার রোল।
গতকাল বুধবার বিশ্বনাথের উত্তর মিরেরচর (মাঝপাড়া) গ্রামে নিহত হামিদুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে সুনশান নিরবতা। পরিবারের লোকজন বলতে একমাত্র চাচিই আছেন বাড়িতে। চাচা আব্দুল মনাফ ছিলেন বিশ্বনাথে। চাচি জানিয়েছেন, হামিদুর রহমান মৃত্যুর খবর তারা লন্ডন থেকে পেয়েছেন। আর এ খবরে তারা হামিদুরের জন্য কেঁদেছেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে তিনি দেখেছেন হামিদুর মধ্যরাত পর ঘুম থেকে উঠে কিভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েছে। পরিবারের সকল সদস্যকে নামাজ পড়তে সব সময় অনুরোধ করতো হামিদুর রহমান।
তিনি জানান, তাজুদের নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত হামিদুর রহমান। ছোট বেলা থেকেই নামাজ পড়া ছিল ওই ছেলের অভ্যাস। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে সে শহীদ হয়। অল্প বয়সে সে মৃত্য বরণ করায় পরিবার মর্মাহত। তবে ভাল কাজে গিয়ে তার মৃত্যূ হওয়ায় আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করেন পরিবারসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
জানা গেছে, হামিদুরের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করছে। সেখানেই জন্ম হয় হামিদুরের। প্রায় ৫ বছর পূর্বে মায়ের সঙ্গে সে বাংলাদেশে আসে। দুই সপ্তাহ দেশে থাকার পর আবারো লন্ডনে চলে যান। এরপর সে আর কখনো দেশে আসেনি। এসব কথাগুলো বলেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহত হামিদুর রহমানের এক চাচী। তিনি জানান, হামিদুর রহমানের দুই ভাই তিন বোন। ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয় এবং দুই বোনের ছোট সে। বড় ভাই বাবলু মিয়া (৩৫), রেহেনা বেগম (২৭), ছায়মা বেগম (২৫), আয়েশা বেগম (২০)।
হাদিদুর রহমানের চাচা আব্দুল মনাফ জানান, প্রায় ৮ মাস পূর্বে পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে ১০ জনের একটি টিমের সঙ্গে সিরিয়া যায়। সে যুক্তরাজ্য থেকে চলে যাওয়ার পর তার রুমের মধ্যে তারই হাতের লিখা একটি চিঠি পেয়ে পিতা-মাতা নিশ্চিত হন হামিদুর সিরিয়া যুদ্ধে চলে গেছে। এরপর থেকে পরিবারের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিল না। গত বুধবার সহযুদ্ধা ফোন করে হামিদুর রহমানের পিতাকে জানায়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করে হামিদ নিহত হয়েছে।হামিদুর রহমান মিরেরচর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল হান্নানের পুত্র।
গাজায় নিহত বিশ্বনাথের হামিদুরের গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া
Wednesday, August 6, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment