আমাদের সিলেট ডটকম:
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না সমাজকল্যাণমন্ত্রীর। এর আগে তিনি সিলেটে একটি বৃহৎ অনুষ্ঠানের মঞ্চে ধুমপান করে আলোড়িত হলেন। পরবর্তীতে ছাতক থেকে অনুষ্ঠান শেষ করে আসার পথে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পশ্রাব করলেন। আর এবার তিনি সাংবাদিকদের গালি দিলেন। তাও যা তা বলে। এ নিয়ে সিলেটসহ দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। সাংবাদিকদের কটাক্ক করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তিব্র নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্র কার্যালয়সমূহে বিবৃতি দিতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের কটাক্ক করে অকথ্য ভাষায় বক্তব্য রাখলেন সমাজকল্যানমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে ওঠে তিনি মাইক নিয়ে সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকরা সেখানে থেকে গেলে বক্তৃতার সময় তিনি অকথ্য ভাষায় ক্ষোভ ঝাড়েন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী তার বক্তব্যকালে বলেন, ‘সাংবাদিকদের ঠিক করতে নীতিমালা হয়েছে। ওই দিন কেবিনেট মিটিংয়ে আমি থাকলে সাংবাদিকদের *** দিয়ে বাঁশ ঢুকাতাম। সাংবাদিকদের এখন এমনভাবে ঠিক করা হবে যাতে নিজের স্ত্রীকে পাশে নিয়েও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। সাংবাদিকরা বদমাইশ, চরিত্রহীন, লম্পট।’
বক্তব্য চলাকালে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর শিষ্টাচার বর্হিভূত এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে হট্টগোল শুরু হলে মহিলা সাংসদ কেয়া চৌধুরী ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে কর জোড়ে মাফ চান। কিন্তু সমাজকল্যানমন্ত্রী তার অশ্লীল বক্তব্য চালিয়ে গেলে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে আসেন।
একটি জাতীয় দৈনিকের নাম উল্লেখ করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, আজ ওই পত্রিকা লিখেছে তারা আমাকে লাল পানি খাওয়াবে। ওই পত্রিকা অর্থমন্ত্রী সম্পর্কেও আজেবাজে লিখেছে। মন্ত্রী বলেন- শেখ হাসিনা আমাকে ডেকে বলেছেন, হাসানুল হক ইনু ১৪ দলের নেতা, আর তুমি আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা। সাংবাদিকরা যা ইচ্ছে লেখুক, তাতে কিছু যায় আসে না। তুমি চালিয়ে যাও।
মন্ত্রীত্বের পরোয়া করেন না এমন দম্ভোক্তি করে মহসিন আলী বলেন- মন্ত্রীত্ব থাকলেই কী, আর না থাকলে কী? জনগণ আমাকে ভালোবাসে, আমিও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই।
সাংবাদিকরা অল্পশিক্ষিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তারা দু’এক কলম পড়ালেখা করেছে। আমি বলি একটা, তারা লিখে আরেকটা। দুই টাকা খেয়ে তারা আমার পেছন দিয়ে দিয়ে বাঁশ ঢুকাতে চায়। আমার শ্বশুর বাড়ি সিলেটে। সাংবাদিকদের পেছনে সিলেটের মানুষ লেলিয়ে দিতে আমার সময় লাগবে না। সাংবাদিকরা আমার বাল ছিঁড়তে পারবে না।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিতর্ক সঙ্গী সমাজকল্যাণমন্ত্রীর: সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষ্যাপা ষাড়
Saturday, August 9, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment