আমাদের সিলেট ডটকম:
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে টুলটিকরে নির্মাণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের নির্মাণ কাজের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ২০০৬ সালে প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০০৭ সালে প্লান্ট নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বিগত সপ্তাহে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবরে ডি.ও (Demi Official Letter) লেটার দেন তিনি।
নির্মাণকাজের ধীরগতিতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেয়র ডিও লেটারে উলেৱখ করেন, এত বছর পরও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া সিলেট নগরবাসীকে হতাশ করেছে। এর নেপথ্যে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তিনি আহবান জানান। ডিও লেটারের প্রেৰিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান সহ সংশিৱস্টদের টনক নড়ে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে এই বিষয়ে কার্যকর পদৰেপ গ্রহন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। যার প্রেৰিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেঘনা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ শাহজাহান ২০১৪ সালের ২৮ জুনের মধ্যে ২০এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পৱ্যান্টের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকারনামা করেন। লিখিত এই অঙ্গীকারনামায় স্বাৰী হিসেবে স্বাৰর করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: নুর্বজ্জামান ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোতাহার হোসেন। অঙ্গীকারনামায় উলেৱখ করা হয়, ২৮ জুনের মধ্যে কাজ সর্বতোভাবে সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মানাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ দেখতে টুলটিকরে যান সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরিদর্শনকালে তিনি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এসময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘মেয়র মহোদয় কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার কারণে কাজের ক্ষেত্রে গতি এসেছে। এই গতিতে কাজ চললে তিনি জুনের শেষদিকে প্লান্টের কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
এই ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘জলাবদ্ধতার পর সিলেটবাসীর জন্য আরেকটি দুশ্চিন্তার নাম হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। বর্তমানে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পানি সংকট এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পৱ্যান্টটি যথাসময়ে চালু হলে এই সংকট অনেকটাই কেটে যেত। কিন্তু নির্মানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালীর কারণে পৱ্যান্ট যথাসময়ে চালু হচ্ছে না।’ কিছুদিন পর রমজান মাস আসছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘রমজান মাসে পানির চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আরও ৭টি ডিপ টিউবওয়েল জরুরী ভিত্তিতে স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, টুলটিকরে প্রায় ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট চালু হলে প্রতিদিন ২ কোটি ৮০ লাখ লিটার পানি নগরীজুড়ে সরবরাহ করা যাবে।
ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজে ধীরগতি অসন্তুষ্ট হয়ে ডিও লেটার দিলেন মেয়র ॥ ২৮ জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্নের অঙ্গীকারনামা দিলেন ঠিকাদার
Thursday, May 29, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment