আমাদের সিলেট ডটকম:
বিয়ানীবাজারে এসএসসি পরীৰায় সদ্য পাশ হওয়া দুই বোন ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট জুড়ে সর্বত্রই তোলপাড় চলছে। এমনকি ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানব-বন্ধনসহ নানা ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। পুনরায় যাতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন সিলেটের সচেতন বাসিন্দারা। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ষণকারীরা এ কাজ করেছে। গ্রেফতারকৃতরা বুধবার দুপুরে সিলেটের আদালত-৪ এর বিচারক কুদরত-ই-খোদার আদালতে ধর্ষক সেলিম স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সেলিম সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়দেশ গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুন্দর আলীর ছেলে। ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা জয়নুলের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার জালালপুর গ্রামে। এছাড়াও এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি ছৈয়দুর রহমান ওরফে সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকিদাতা নজর্বলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে উভয়কে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জবানবন্দিতে সেলিম জানায়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এ কাজ করেছে। জয়নুল দাওয়াত দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। খাওয়া দাওয়া শেষে মধ্যরাত পর্যন্ত তারা একত্রে বসে তাস খেলা। এরপর বন্ধুদের নিয়ে ঘর থেকে বের হয় জয়নুল। ভোরের দিকে বিয়ানীবাজারের চারখাই ইউনিয়নের হাজরাপাড়ার একটি ঘরে সিঁদ কেটে ঢুকে তারা। এরপর বাবা-মাকে বেঁধে পাঁচ-বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ দুবোনকে। আদালতে ধর্ষক সেলিমের স্বীকারোক্তি দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিয়ানীবাজার থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ। উলেৱখ্য গত ২৫ মে রাতে সিঁদ-কেটে ঘরে ঢুকে বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই হাজরাপাড়া গ্রামের এবারের এসএসসি উত্তীর্ণ দুবোনকে ধর্ষণ করে ৫ ধর্ষক। এ ঘটনায় নির্যাতিতাদের পিতা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সিলেটের বিয়ানীবাজার ও কানাইঘাটে অভিযান চালিয়ে ২ ধর্ষক ছৈইয়দুর রহমান সাইফুল, সেলিম আহমদ ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকিদাতা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুবোনকে ধর্ষণ করে ধর্ষণকারীরা
Thursday, May 29, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment