আমাদের সিলেট ডটকম:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভাড়ায় যুবলীগ নেতা আব্দুল কাইয়ূমকে হত্যা করতে এসে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে মৃত ভেবে পালিয়ে যাবার সময় গণধোলাই শেষে পুলিশের হাতে ২ সন্ত্রাসীকে সোপর্দ করেন জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে বড়লেখা উপজেলার বিওসি কেছরিগুল গ্রামে মঙ্গলবার রাতে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সিলেটের দৰিণ সুরমা বরইকান্দি ইউনিয়নরে চান্দাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত বশির আলীর পুত্র ও নগরীর কুমার পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা উদ্দিনের পুত্র মুনতাজির রহমান মন্টু। মন্টুর মূল বাড়ি ফেনীর লাকসামে।
ওই রাতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত কাইয়ূমকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস’তি চলছে বলে জানা গেছে।
বড়লেখা থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিওসি কেছরিগুল গ্রামের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা আব্দুল কাইয়ূম (৪৫) কে হত্যা করতে একই এলাকার বাসিন্দা দুর্ধষ ডাকাত হিসেবে পরিচিত কাজী এখলাছুর রহমান মাখন ও ওলিউর রহমান গং সিলেট থেকে ভাড়া করে আনে আমিনুল ইসলাম রিপন, মুনতাজির রহমান মন্টু সহ একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিওসি কেচরিগুল এলাকায় আব্দুল কাইয়ূমকে কুপিয়ে মৃত ভেবে পালিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসির সহযোগিতায় ব্যারিকেড দিয়ে সদর ইউপির ডিমাই বাজার এলাকা থেকে বরইকান্দি ইউপির ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ও র্বকন আমিনুল ইসলাম রিপনকে গণধোলাই শেষে আটক করা হয় এবং তাদের সাথে থাকা গাড়িটি ভাংচুর করে জনতা। এ সময় তাদের সাথে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গতকাল বুধবার সকালে সিলেটে পালিয়ে যাবার সময় পৌর শহরের বাস থেকে মুনতাজির রহমান মন্টু নামে আরো এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। গণধোলাইয়ে আহত দু-সন্ত্রাসীকে বড়লেখা হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা আহত থাকায় চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিলেট থেকে বড়লেখায় ভাড়ায় যুবলীগ নেতাকে হত্যা করতে এসে গ্রেফতার ২
Wednesday, May 28, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment