আমাদের সিলেট ডটকম:
দোয়ারায় বজ্রপাতে নাজমা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে লক্ষীপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গর্ব আনতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। সে গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। এ সময় কালবৈশাখী ঝড়ে লক্ষীপুর গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। কয়েকটি বিদ্যালয়, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। পাশাপাশি প্রচুর গাছপালা ও বোরো ধানের ক্ষতি সাধিত হয়। সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার জানান, ঝড়ে ইউনিয়নের সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গিরিশ নগর জামে মসজিদ, মামুনপুর জামে মসজিদ, মহব্বতপুর বাজারে আব্দুল হকের রাইছ মিলসহ ক’টি টিনসেডের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে টিলাগাঁও, টেংরাটিলা, আলীপুর, মহব্বতপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে ৪০-৫০টি কাঁচা ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়। লন্ডভন্ড হয়েছে বিভিন্ন গ্রামের গাছপালা ও পাকা বোরো ফসল। উপজেলা সদরের টেবলাই, বড়বন্দ, মাইজখলাসহ কয়েকটি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচা বাড়ি-ঘর বিধ্বস- হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে টেবলাই গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার পড়ে গেলে পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। লক্ষীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমীরুল হক জানান, সকালে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখির ঝড়ে দেলোয়ার নগর গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বসত ঘরসহ কয়েকটি গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ী ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দোয়ারায় বজ্রপাতে গৃহবধুর মৃত্যু ঝড়ে লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি
Monday, May 12, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment