আমাদের সিলেট ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিদ্যুৎ বিস্ফোরণ (বজ্রপাত) হওয়ায় প্রতিবছর সারাদেশে প্রায় হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়। জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ মাসে এর প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা যায়। গ্রাম গঞ্জে বজ্রপাত সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের ধ্যান ধারণা নেই। আবহাওয়ায় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দেশের গ্রামগুলোতে প্রচার মুলক কিছু করছে না। ইতিহাস ও বাস্তবিক পর্যালোচনায় বিগত দশকগুলোতে যে পরিমাণ বজ্রপাত হতো সাম্প্রতিক সময়ে এর মাত্রা বেড়েছে দ্বিগুন। গত বছর ১৯ জুন বুধবার সারাদেশে আকস্মিক বর্জপাতে মারা গেছে ১৬ জন। গত এক বছরে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় এক হাজার। মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কাছে। জনশ্রুতি রয়েছে যে, বিভিন্ন স্থান থেকে একটি চক্র বজ্রপাত নিরোধক ম্যাগনেটিক পিলার চুরি করার কারনে এর মাত্রা বেড়েছে। একটি চক্র এই ম্যাগনেট পাচার করে শত শত কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। এই চক্রের সাথে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের যোগসাজোস রয়েছে।এ বিষয়ে সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আইয়ুব আলী শেখ বলেন, এখন যে বজ্রপাত হচ্ছে পুর্বেও তা হতো। তখনও লোক মারা যেত তবে তার পরিমাণ ছিলো কম। মৃত্যুর খবর সচরাচর জানা যেত না। আর বর্তমানে মিডিয়ার কারণে জানা যাচ্ছে। আমি ইউএনডিপির একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক সেমিনারে বজ্রপাতের বিষয়টি আলোচনা করেছিলাম। টর্ণেডো,জলোচ্ছাস বড় বড় দুর্যোগের মত একটি বড় দুর্যোগ বজ্রপাত। এটা নিয়ে এদেশে ভাবছে না বা পরিকল্পনাও নেই। আগামীতে এটা বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বজ্রপাত নিরোধক ম্যাগনেট বিষয়ে তিনি বলেন,বড় বড় স্থাপনা ও গুরুত্বপুর্ন স্থানকে রক্ষার ক্ষেত্রে এই ম্যাগনেট স্থাপন করা হতো। সাধারণত এক ধরনের চৌম্বক এর মধ্যে বিদ্যুৎ দ্বন্দ তার স্থাপন করে তৈরি করা হতো। কিন্তু তা উঁচুতে স্থাপন করতে হবে। তা না হলে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব না। ম্যাগনেটের ধারণ ক্ষমতার উপর নিয়ন্ত্রন করবে এলাকা। সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বজ্রপাতের মত দুর্যোগ মোকাবেলায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা না হলে আগামীতে এর ভয়াবহ পরিস্থিতি অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ম্যাগনেটিক পিলার চুরির কারনে সারাদেশে বজ্রপাতে অকাল মৃত্যু হচ্ছে মানুষের!
Sunday, June 1, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment