আমাদের সিলেট ডটকম:
বিশ্বনাথে এক স্কুল ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অশ্লীল ভিডিও ফোটেজ ও ছবি মোবাইল ফোনে ধারন করে প্রচারের অভিযোগে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত যুবককে দুররা মেরে তার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করিয়েছেন পঞ্চায়েত। এ সময় অভিযুক্ত যুবকের এক সহযোগীকেও দুররা মারা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকেলে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিশ করেন রামপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন মুরব্বী।
জানা গেছে, রামপুর গ্রামের মকদ্দুছ আলীর ছেলে মইনুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের স্কুল পড়–য়া এক ছাত্রীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর সুবাদে প্রায় বছর খানেক পূর্বে মইনুল তার প্রেমিকাকে কামাল বাজারস্থ নওরিন ফটো স্টুডিওতে বিভিন্ন সময়ে নিয়ে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ধারন করে। স¤প্রতি ধারণকৃত ঐ ভিডিও ও ছবি ফেইসবুক ও মোবাইলের মাধ্যমে উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে রামপুর গ্রামবাসী গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন। সর্বশেষ গতকাল রবিবার বৈঠক বসে। এই বৈঠকে অভিযুক্ত মইনুল ও তার সহযোগী একই গ্রামের দিলোয়ার কে উপস্থিত করা হয়। এ সময় গ্রামবাসী অভিযুক্তদেরকে দুররা মারা ও গলায় জুতো দিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণের সিদ্ধান্ত নেন এবং দুররা মারার জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ৫ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের পর পরই গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে অভিযুক্ত মইনুল ও দিলোয়ারকে দুররা মারা হয় এবং মইনুলকে তার গলায় জুতোর মালা পড়িয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করানো হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রামপুর গ্রামের মুরব্বি ও বর্তমান ইউপি সদস্য সজ্জাদ মিয়া বলেন, গ্রামের পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত মইনুল ও তার সহযোগী দিলোয়ারকে দুররা মারা হয় এবং মইনলকে গলায় জুতো পড়িয়ে গ্রামের বাজার প্রদক্ষিণ করানো হয়। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেই জন্য এই শাস্তির দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে না বলে পঞ্চায়েতের কাছে মইনুল লিখিত অঙ্গিকার করেছে।
স্কুল ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও প্রচারের ঘটনায় বিশ্বনাথে যুকবকে গ্রামবাসীর র্দুরা অতঃপর গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ
Sunday, June 1, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment