আমাদের সিলেট ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা দায় স্বীকার করেছেন র্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন। বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার মাধ্যমে তিনি এ দায় স্বীকার করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন মেজর আরিফ। এতে তিনি হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান- বর্ণনা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, নির্দেশদাতা, কীভাবে অপহরণ, হত্যা ও লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়- সব ঘটনার বর্ণনা করেন আরিফ। জবানবন্দি শেষে আরিফ হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন-কারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডল জবানবন্দির বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন। মামলার শুরু থেকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নেওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জবানবন্দিতে আরিফ সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। কীভাবে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে তার সব কিছু আদালতে বলা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা উচিত হবে না। আরিফ হোসেন সেভেন মার্ডারের ঘটনার মামলার আসামি। তিনি আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক ছিলেন। ২৭ এপ্রিল সাতজনকে অপহরণের পর ২৯ এপ্রিল রাতে সে সময়ের জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, র্যাব-১১ এর সিইও তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ, ক্রাইম প্রিভেনশনাল স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার লে. কমান্ডার এমএম রানা, ফতুল্লা থানার ওসি আক্তার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিনকে প্রত্যাহার করা হয়। ৩০ এপ্রিল ৬ জন ও ১ মে অপর একজনসহ ৭ জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাকে র্যাব থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীও তাদের অকালীন অবসরে পাঠায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment