আমাদের সিলেট ডটকম:
বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীর শাস্তি দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। দুই দফা দাবি বাস-বায়নের দাবিতে বিভাগীয় সভা করে মঙ্গলবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়াকে বিভাগের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিভাগের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, র্যালী ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্তৃক বিভাগের শিক্ষক লাঞ্চিত ও ভাংচুরের বিচার দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি ও ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় গ্রন’াগার সমাজকর্ম বিভাগ আয়োজিত মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১হাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেয়। পরে ক্যাম্পাসে একটি মৌন মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা, সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তদন-সাপেক্ষে হামলাকরী শিক্ষার্থী ওয়েস আহমেদের প্রাপ্ত সকল সনদ বাতিলসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানান।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রচলিত আইনে হত্যা চেষ্টাকারীর সর্বোচ্চ শাসি- বিধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান। সমাজকর্ম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এবং দুই দফা দাবি বাস-বায়নের দাবিতে শাবি উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপাচার্য এসময় দাবি বাস-বায়নে দ্রুত ব্যবস’া নিবেন বলে তাদেরকে আশ্বস- করেন।
অন্যদিকে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক লাঞ্চিত ও ভাংচুরের বিচার দাবিতে রবিবার থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ বন্ধ রয়েছে। একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছে বিভাগের শিক্ষকরা।
বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান জানান, হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাগের থিসিস ভাইবা প্রেজেন্টশেন চলাকালে উচ্ছৃঙ্খল কিছু শিক্ষার্থীরা ক্লাশরুমে প্রবেশ প্রজেক্টর, প্রিন্টার, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে শিক্ষার্থীদের থিসিস পেপার ছিরে ফেলে। এসময় উপসি’ত বিভাগ কয়েকজন শিক্ষকসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহি:শিক্ষককে লাঞ্চিত করে বলে তিনি জানান। হামলায় বিভাগীয় সভার সিদ্ধান- অনুযায়ী প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান-মূলক শাসি-র দাবি জানান দাবি জানান তিনি। ঘটনার বিচার ও সুষ্ঠু সমাধান শেষে বিভাগীয় সভা করে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় আটক হামলাকারী শিক্ষার্থীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি প্রদানের জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন- কমিটির আহবায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল বিশ্বাস।
তিনি জানান, এ ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী সকলকে লিখিত বক্তব্য দানের জন্য বলা হয়েছে। এ সংবলিত একটি বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
উলেৱখ্য, গত ২৮ আগস্ট নিজ রুমে একই বিভাগের মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী ওয়েস আহমেদের হামলার শিকার হন সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহম্মেদ।
No comments:
Post a Comment