পিযুষ জেলহাজতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ

Monday, September 1, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পিযুষ কান্তি দে’কে (৩০) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে পুলিশ ধৃত পিযুষকে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেন।

এদিকে, কোতয়ালী থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার পিযুষকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হবে।

গ্রেফতার হওয়া পিযুষ নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকর নবীন ৩ নম্বর বাসার মৃত ননী গোপাল দের পুত্র। আদালত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

পুলিশ জানায়, নগরীর তালতলা হোটেল ইস্ট এন্ডের মালিক মোঃ আহমদ মিয়া বাদী হয়ে পিযুষ কান্তি দেসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ৩৮ (৩১-০৮-১৪)। পিযুষ কান্তি দে ছাড়া মামলার অপর আসামীরা হচ্ছে- নগরীর দর্জিপাড়া সৌরভ ১৫ নং বাসার সমরেন্দ্র নারায়ন চৌধুরীর পুত্র সুপ্রিয় চৌধুরী রাজ (৩০), দক্ষিণ সুরমা দাউদপুর এলাকার গালিমপুরের মৃত আছকন্দর আলীর পুত্র আনোয়ারুল হক আলম (৩০) ও নগরীর রামেরদিঘীর পাড়ের স্বপ্ননীল ৩৩ নং বাসার পরেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র মন্টি রায় (৩২)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিযুষ কান্তি দে ও তার অপর সহযোগীরা এক সপ্তাহ ধরে তালতলাস্থ হোটেল ইস্ট এন্ডের দ্বিতীয় তলার ১০৫ ও ১০৬ নম্বর রুম জোরপূর্বক দখল করে রাখে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হোটেল ম্যানেজার মতিউর রহমান তাদের কাছে ২টি রুমের ভাড়া চাইলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় তারা অস্ত্র উচিয়ে ম্যানেজারকে বলে যে, এখানে ব্যবসা করতে হলে প্রতিমাসে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। নতুবা প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকী দেয়। পরে হোটেল মালিক আহমদ মিয়া ও তার ম্যানেজার মতিউর রহমান হোটেলর নিচে ক্যাশে আসেন। এক পর্যায়ে তারা তাদের পিছু নিয়ে দ্বিতীয় তলার নিচে নেমে এসে ক্যাশ বক্স থেকে ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বাকী টাকা নিতে আসবে বলে জানায়।

পরে হোটেল মালিক কোতোয়ালী থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রোববার পিযুষসহ তার লোকজন ওই হোটেলে বাকী চাঁদা নিতে এলে কোতোয়ালী থানার এসি সাজ্জাদের নেতৃত্বে সাদা পোশাকধারী পুলিশ রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে পিযুষ কান্তি দেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, পিযুষের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় ৯ (১৫-০৫-১২) নম্বর অস্ত্র মামলা, কোতোয়ালী থানার ১৬ (১৭-০৭-১৪) নম্বর দাঙ্গা-হাঙ্গামার মামলা, জালালাবাদ থানার ১২ (১৯-০৫-১৪) নম্বর মারামারির মামলা ও কোতোয়ালী থানার ১৮৩ (০৩-০৬-১৪) নম্বর জিডি বিচারাধীন এবং তদন্তাধীন রয়েছে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License