আমাদের সিলেট ডটকম:
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বনাথের পলিতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিশ্বনাথের দৌলতপুর ইউনিয়নের সত্তিশ গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান ও আব্দুর রহীম লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৮জন আহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন- সুহেল মিয়া (৩০), ফয়ছল মিয়া (২৫), আনসার আলী (৩৫), আবদুর রহিম (৩৮), মখবুল মিয়া (২৫), সেবুল মিয়া (৩০),আমির হোসেন (৪০)। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিশ্বনাথ থানাপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুদিন যাবৎ সত্তিশ গ্রামের মিজানুর রহমান ও আব্দুর রহীমের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় হাবড়াবাজারে উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে বিশ্বনাথ প্রতিনিধি জানান, বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সৎমানপুর গ্রামের আইন উদ্দিনের পুত্র তাজ উদ্দিন (১৮) বুধবার দিবাগত রাতের কোন একসময়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ের একটি কদমগাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার তার ভাই হাফেজ আমির উদ্দিন ফজরের নামজ পড়তে ঘর থেকে বের হলে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান। বিশ্বনাথ থানায় খবর দিলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে তার পরিবারের লোকজন আত্মহত্যার কারণ বলতে পারেননি। এ ঘটনায় তার ভাই আমির উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
No comments:
Post a Comment