বিশ্বনাথে বাসিয়া নদী চরভূমি দখল আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতা মুখোমুখি

Monday, September 1, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

বিশ্বনাথে উপজেলা সদরের পুরান বাজার এলাকায় (মাছ বাজারের পার্শ্বে) ‘বাসিয়া নদী’র চরভূমি দখল করাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ারিছ খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয়।

গত শনিবার রাতে ওয়ারিছ খানের নির্মিত দোকান ঘর ফয়জুল গংরা ভাংচুর করে দেন। ওই রাতে আবার আওয়ামী লীগ নেতা ভাংচুরকৃত দোকানঘন পূণঃনির্মাণ করেন। এনিয়ে মাস খানেক পূর্ব থেকে দু’জনের নেতৃত্বে বাসিয়া নদীর চর দখল ও পাল্টা দখল এবং ভাঙচুর-পুণঃনির্মাণ চলে আসছে। এ পরিস্থিতি বেশি দিন বিরাজমান থাকলে দু’পক্ষে রক্তৰয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশংঙ্খা করছেন অনেকেই। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তাঁদের মধ্যে এ দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, উভয় নেতা একে অপরের বির্বদ্ধে ঘুষ ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলেন।

জানাগেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম মাসখানেক পূর্বে তাঁর চাচা মৃত শওকত আলী লোকজনের সাথে দ্বন্দের জের ধরে চাচার নির্মিত দোকান কোঠার পিছনে বাসিয়া নদীর চরভূমি দখল করেন। পর দিন আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ারিছ খান মৃত শওকত আলী গংদের পক্ষ নিয়ে ফয়জুলের দখল করা অংশে টিনের একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেন। গত শনিবার দিবাগত রাতে ফয়জুল ইসলাম জয় সেই দোকার ঘর ভাঙচুর করে। পরবর্তিতে ওই রাতেই ওয়ারিছ খান আবার সেই ঘর পূর্নঃনিমান করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম বলেন, আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে আমাদের চাচা-ভাতিজার দ্বন্দে সাবেক বিএনপি নেতা ওয়ারিছ খান জড়িত হয়েছেন। দখল-লুটপাট করা ও জুয়ার আসর বসানোর জন্য ওয়ারিছ খান আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। কয়েকদিন পূর্বে উপজেলার গর্ব হাটায় তাঁর একটি অধৈধ স্থাপনা নির্মানের কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শও দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

ঘুষ গ্রহনের কথা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ারিছ খান সাংবাদিকদের বলেন, আমার চাচাত বোনের ছেলের ফুফাত ভাই হচ্ছেন মৃত শওকত আলী। তাঁরা প্রবাসী। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফয়জুল বার বার তাঁরে কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসলে আমি তাঁদের সাহায্য করছি মাত্র। তাছাড়া ঐ পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকাও আমি সালিশের মাধ্যমে ফয়জুলকে দিয়েছি। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধদের বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License