রামকানাই দাশের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন নিজ জন্মস্থান সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে

Saturday, September 6, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর শাস্ত্রীয় সংগীতের গুর্ব পন্ডিত রামকানাই দাশের মরদেহ উপজেলা পের্বয়া গ্রামের নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার দুপুর পৌনে ৩টায় দিরাই শহীদ মিনারে এ গুণিজনের মরদেহ রাখা হয়। এসময় তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক স’ায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ।

একুশে পদক পাওয়া পন্ডিত রামকানাইয়ের ভাইপো ইউপি সদস্য চন্দন দাস সিলেটের ডাককে জানান, গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় দিরাইয়ের পের্বয়া গ্রামের তাঁর শেষ কৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে এলাকার গণ্যমান্য বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ উপসি’ত ছিলেন।

শুক্রবার দিনগত রাত সোয়া ১১টার দিকে হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আইসিইউতে মারা যান রাম কানাই দাশ।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ২৭ আগস্ট রাজধানীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রামকানাই দাশকে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বেড়ে গেলে ৩০ আগস্ট জর্বরি ভিত্তিতে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়।

পন্ডিত রামকানাই দাশ সোনাতনী বাংলা গান নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করেছেন। পুরনো বাংলা গানকে নাগরিক শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন এই গুণী শিল্পী।

পন্ডিত রামকানাই দাশের জন্ম ১৯৩৫ সালে সুনামগঞ্জ জেলারা দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের পের্বয়া গ্রামে। লোকসংগীত সংগ্রহে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে একুশে পদক পান তিনি।

রামকানাইয়ের বাবা রসিকলাল দাশ এবং মা দিব্যময়ী দাশও ছিলেন লোকসঙ্গীতের শিল্পী। লোকসঙ্গীতের ধারা রক্তে থাকলেও রামকানাই সেই গন্ডি পেরিয়ে ধ্রুপদী সঙ্গীত, বিশেষ করে ‘খেয়াল’ এ মন দিয়েছিলেন। তালিম নিয়েছিলেন তবলাতেও।

গাওয়ার পাশাপাশি তিনি গান লিখছেন এবং সুর করেছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষক হিসাবে বহু শিল্পী তৈরি করেছেন তিনি।

১৯৬৭ সাল থেকে সিলেট বেতারে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করে আসা রামকানাইয়ের গানের অ্যালবামগুলো হলো- ‘বন্ধুর বাঁশি বাজে’ (২০০৪); ‘সুরধ্বনির কিনারায়’ (২০০৫); ‘রাগাঞ্জলি’ (২০০৬); ‘অসময়ে ধরলাম পাড়ি’ (২০০৬) এবং ‘পাগলা মাঝি’ (২০১০)।

শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষা নিয়ে ‘সরল সঙ্গীত শিক্ষা’ নামে একটি বইও লিখেছেন রামকানাই। সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদক ছাড়াও ২০১২ সালে বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ‘ফেলোশিপ’ এবং ২০০০ সালে ‘রবীন্দ্র পদক’ পেয়েছেন তিনি।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License