গোলাম সারওয়ার,জগন্নাথপুর:
স্কুলের পোষাক গায়ে পরিহিত কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। কারো হাতে ঝাড়ু ও কারো হাতে ময়লা-আর্বজনা রাখার টুকরী। সকল লাজ লজ্জা বির্সজন দিয়ে তারা দলবেঁধে পৃথকভাবে নেমে পড়েছেন বাজার পরিস্কার করার কাজে। কয়েকজন ময়লা-আর্বজনা এক স্থানে স্তুপ করে রাখেন। আরো কয়েকজন ঠেলাগাড়ি ভরে ময়লা-আর্বজনাগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে আসেন। এভাবে এক এক করে ১৭ গাড়ি ময়লা-আর্বজনা ফেলে তারা বাজার ও আশপাশ এলাকা পরিস্কার করেন। তাদের এ ব্যতিক্রমধর্মী কর্মতৎপরতা সচেতনতার অভাবকে চোঁখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করেছে। বাজারের অভিভাবকরা হয়তো লজ্জা পেয়েছেন। দায়িত্বপালনে যারা অবহেলা করে তাদের জন্য এটি চরম শিক্ষা। এভাবে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তা হলে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার বিগত এক মাস ধরে পরিস্কার করা হচ্ছে না। পরিস্কার না করার কারণে ময়লা-আর্বজনা জমে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি করে। তাছাড়া জমে থাকা ময়লা-আর্বজনা পঁচে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করছিল।
জানা গেছে, বিগত এক মাস ধরে বাজার পরিস্কার করা হচ্ছে না। বাজারের পরিছন্নকর্মীরা তাদের বেতন নিয়মিত না পাওয়ায় কাজ করছে না।
অবশেষে রানীগঞ্জ বাজারের পাশে অবস্থিত রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের উদ্যোগে গত শনিবার বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা স্বেচ্ছাশ্রমে রানীগঞ্জ বাজার ও আশপাশ এলাকার ময়লা-আর্বজনা পরিস্কার করেন।
ছাত্রছাত্রীরা যখন বাজারের পরিছন্নকর্মী!
Sunday, November 17, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment