ফলোআপ – গোলাপগঞ্জের ৪ খুন নিহতদের দাফন সম্পন্ন, মানসিক বিকারগ্রস্থ ঘাতক যুবক কারাগারে

Friday, November 22, 2013

গোলাপগঞ্জে মানসিক বিকারগ্রস্থ যুবকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ৪ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।

বাদ মাগরিব ঘাতক যুবক আব্দুস সালাম ফুরুকের হাতে নিহত তার মা সামছুন নাহার, বোন নাজমিন বেগম ও পুত্র তানভীর হোসেনের জানাজা লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ এস, ই উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এবং তার চাচা আব্দুর রহিমের শাশুড়ী নিহত হনুফা বেগমকে তার নিজ এলাকা লক্ষ্মীপাশায় জানাযা শেষে দাফন করা হয়। দক্ষিণভাগ এসই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় হাজারও মানুষের সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, লক্ষণাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নছিরুল হক শাহিনসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

গতকাল শুক্রবার পুলিশ ঘাতক যুবক আব্দুস সালাম ফুরুককে আদালতে হাজির করে।

জানা যায়, সে আদালতে একেক সময় একেক কথা বলে আদালত ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস করে। আদালত তার জবাববন্দি রেকর্ড না করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এদিকে, মর্মানি-ক এ ঘটনাটি সহজে মেনে নিতে পারছে না লক্ষণাবন্দ তথা গোটা গোলাপগঞ্জবাসী। মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক কর্তৃক তার নিজ পরিবারের ৪ সদস্যের প্রাণহানীর ঘটনাটি সর্বমহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সামনে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। তারা এক নজরে খুনী ফুরুককে দেখতে ভীড় করেছিল থানা প্রাঙ্গনে। আগত জনতাকে চাপে এ সময় পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

গতকাল গোলাপগঞ্জে স’ানীয় সংবাদপত্র নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদটি দেখে বিস-ারিত জানতে সাধারণ মানুষকে সকাল থেকেই পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় আটক অবস্থায় আব্দুস সালাম ফুরুকের কাছে খুনের ঘটনাটি জিজ্ঞেস করা হলে সে অনেকটা তুচ্ছার্থে বলে আমার মা, বোন, পুত্র ও নানীকে (মৃত) বাবার সঙ্গে দেখা করতে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে বাবা তাদেরকে দেখাশোনা করবেন। তার কথাবার্তায় ভাবলেশহীন দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের নোয়াই দক্ষিণভাগ পুরানপাড়ার মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন আব্দুস সালাম ফুরুক তার মা সামসুন নাহার, বোন নাজমিন বেগম, পুত্র তানভীর হোসেন ও চাচা আব্দুর রহিমের শাশুড়ী হনুফা বেগমকে কাঠ কাটার ধালারো যন্ত্র (বাইস) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License