যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবী ফারুক চৌধুরী গত রাতে তার ঢাকা উত্তরার বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিলাহি—রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ রাত সাড়ে ১০টায় উত্তরায় তার বাসভবনে প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। গত রাতেই এম্বুলেন্সযোগে তার লাশ সিলেটে পৌছবার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শোক : যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবী ফারুক চৌধুরী আজ সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরায় তার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিলাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) ফারুক চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অকুতোভয় সৈনিক, প্রবাসে বাঙালী কমিউনিটির বিশ্বস্থ নেতা ও প্রচারবিমূখ সমাজসেবক ফারুক চৌধুরীর মৃত্যু দেশে-বিদেশে শোকের বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। তার শূন্যতা আওয়ামী পরিবার অনুভব করবে এবং তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শোক বার্তায় তিনি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা ও গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে তার মৃত্যুতে আরো শোক জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংস্কৃতিক বিষয় আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারমান একে আজাদ চৌধুরী, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার, শফিকুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, ইমরান আহমদ ও কুয়েতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা ।
জেলা আওয়ামী লীগের শোক :
যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবী ফারুক চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। এক শোক বার্তায় তারা বলেন, ফারুক চৌধুরী ছিলেন দেশে বিদেশে মুজিব আদর্শের এক পরিচিত মুখ। সমাজসেবা ও শিক্ষামূলক কর্মকান্ডেও তার অনন্য সক্রিয়তা ছিল। প্রবাসে এদেশের মানুষের বিভিন্ন অধিকার আদায়ে তিনি ছিলেন অগ্রভাগে। এদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল।
২০০৭ সালে কথিত ১/১১-এর সময় বিনাকারণে দেশ-বিদেশের ৪০জন নেতাকর্মীদের সাথে তাকেও কারাবরণ করতে হয়। তাঁর চলে যাওয়া আওয়ামী পরিবারের জন্য এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবার তার অবদান আজীবন স্মরণ রাখবে। এক শোক বার্তায় তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
No comments:
Post a Comment