ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে বিশ্বনাথ থানার দুই দারোগাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
তারা হচ্ছেন এসআই (সাব-ইন্সপেক্টর) মারফত আলী ও এএসআই (সহকারী সাব ইন্সপেক্টর) মাজাহারুল ইসলাম। এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনসহ উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুঁয়া ওয়ারেন্টের ভয় দেখিয়ে উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে শওকত আলীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহনের সময় সিলেটের করিম উল্লা মার্কেটের ‘ফোনবাজার’ দোকানে সংবাদকর্মী ও জনতার হাতে ধরা পড়েন এএসআই মাজহার্বল ইসলাম।
প্রমানসহ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ওইদিন রাতেই এএসআই মাজহার্বল ইসলামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। পূর্ব থেকে এমন ঘটনা অবহিত থাকার পরও যতাযত ব্যবস্থা না নেয়ায় এসআই মারফত আলীকেও ক্লোজড করা হয় বলে জানাগেছে। ওইদিন শওকত আলী বাদি হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শওকত আলী’র পরিবারের সবাই আমেরিকা প্রবাসী। তিনি একাই বাড়িতে থাকেন। বিরোধ সংক্রান্ত ব্যাপারে কয়েকদিন পুর্বে তিনি বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এর পর গত ৩ নভেম্বর এএসআই মাজহার্বল ইসলামের মোবাইল (০১৭১৬-৪৫০৮৭৯) থেকে শওকত’র কাছে ফোন করে বলেন, তার নামে দিনাজপুর থেকে নারী নির্যাতন মামলার একটি ওয়ারেন্ট এসেছে। পরদিন ৪নভেম্বর শওকত থানায় গেলে এএসআই মাজহার ওয়ারেন্টের কপি দেখিয়ে বিষয়টি শেষ করে দিবেন বলে ১লাখ টাকা দাবি করেন। পরদিন ৫নভেম্বর শওকত মাজহার’কে ৫০হাজার টাকা দিলে তার সামনেই মাজহার ওয়ারেন্ট এর কপি ছিড়ে ফেলেন।
১৮নভেম্বর মাজহার শওকতকে আবারো ফোন করে বলেন, ঢাকার গুলশান ও ডেমরা থানা থেকে বিস্ফোরক ও মাদক আইনে তার বির্বদ্ধে আরেকটি ওয়ারেন্ট এসেছে। ওয়ারেন্টগুলো আগের মতো করে ছিড়ে ফেলবেন যদি শওকত তাকে একটি আইফোন দেন। পুলিশী হয়রানী থেকে বাঁচতে শওকত বৃহস্পতিবার মাজহারকে সিলেটের করিম উল্লা মার্কেটে যাওয়ার কথা বলেন। সেখানে গিয়ে মাজহার শওকতকে ফোন করেন। এর আগে শওকত বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। শওকত মোবাইল ক্রয়ের টাকা মাজহার’র হাতে দেয়া মাত্রই সাংবাদিকরা আড়াল থেকে তার ছবি তুলেন। পরে মাজহারকে সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে যাওয়া হলে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। পরে এসআই মারফত আলীকে ও ক্লোজড করা হয়।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বিশ্বনাথ থানার এসআই ও এএসআই ক্লোজড উপজেলার সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়
Saturday, November 23, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment