মোগলাবাজারে মোবাইল ফোনে প্রতারণার শিকার দুই গ্রাহক, প্রতারকচক্র হাতিয়ে নিয়েছে নগদ অর্থ

Tuesday, November 19, 2013

আমাদের সিলেট ডটকম:

দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে মোবাইল ফোনে প্রতারণা করে দুই মোবাইল গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে মোগলাবাজার ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের জিয়াউল ইসলাম-এর ০১৭১৬-৫২৬৭৭১ নাম্বারে প্রতারক চক্র ০১৭৮০-৪৭৪৮৩৫ নাম্বার থেকে কল করে জিয়াউল হক কে বলা হয় আপনার মোবাইল নাম্বারে লটারীতে একটি গাড়ি পুরস্কার পেয়েছেন। তাই আপনি অতিসত্বর ০১৭৮০-৭৮৭৭৫০ এই নাম্বারে ২ হাজার ৬শ’ ৫০ টাকা প্রেরণের জন্য বিকাশ করতে বলেন। তিনি সাথে সাথে টাকাগুলো বিকাশের মাধ্যমে প্রেরণ করেন। একই দিন সজিদাবাদ গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী স্বপ্না বেগম ০১৭৫২-৯০০৬৬৪ নাম্বারে ০১৭৮৪-৯৬৯৪৪৮ নাম্বার থেকে কল করে বলেন, আপনার মোবাইল নাম্বারে লটারীতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। সেই টাকা গ্রহণ করতে হলে প্রথমে ২৫০ টাকা ফ্যাক্সিলোড করার জন্য বলেন। ফ্ল্যাক্সিলোড ছাড়ার কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে বলায় হয় আপনার টাকা পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। স্বপ্না বেগম টাকা যোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অল্প সময়ের মধ্যে টাকা যোগাড় করতে না পারায় তার ঘরে থাকা স্বর্ণের হাতের চুড়ি, গলার চেইন নিয়ে মোগলাবাজারের একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করতে যান। ওই সময় তার এক নিকটাত্মীয় স্বর্ণ বিক্রি করার ঘটনাটি দেখে স্বপ্না বেগমকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন কোন প্রয়োজনে তুমি স্বর্ণ বিক্রি করবে। তখন তিনি মোবাইলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার পাওয়ার কথা বলেন এবং এই টাকা পেতে হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে। তাই তিনি স্বর্ণ বিক্রি করতে এসেছেন।

ওই সময় তিনি ঘটনা শুনে স্বপ্না বেগমকে বলেন, তুমি প্রতারণার শিকার হয়েছো। তোমার স্বর্ণ বিক্রির প্রয়োজন নাই। যার ফলে স্বপ্না বেগম বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেলেন। মোবাইলে এ ধরনের প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেকেই প্রতিদিন প্রতারণার শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ফলে দিন দিন প্রতারক চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License