বিয়ানীবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা পিএইচজি হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
বুধবার বিকেলে পৌরশহরের পোস্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সহপাঠিরা এসে তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। উপজেলা ছাত্রদল নেতা শহিদ আহমদ সপু আহত সাজনকে তার গ্রæপের কর্মী বলে দাবি করেন। এমনকি তিনি নৃশংস এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে (পাবেল গ্র“প) দায়ী করেছেন।
এদিকে ছাত্রদল কর্মী সাজন আহত হওয়ার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় সপু গ্র“প পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এ ঘটনায় আহতের চাচাতো ভাই ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের লিটন বাদি হয়ে ছাত্রলীগের আফজল, রাহেলসহ ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগপত্রটি মামলা হিসেবে নথিভ‚ক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা যায়, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে পরিচিত এক যুবক মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে পোস্ট অফিসের টিলায় ডেকে এনে বিয়ানীবাজার পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের (পিএইচজি) নবম শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রদল কর্মী সাজন আহমদকে রামধা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। তার আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথম তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সাজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে অবস্থায় পৌর শহরে মিছিল বের করে।
সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদ আহমদ সপু অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের (পাবেল গ্র“প) কিছু কর্মীর সাথে ছাত্রদল কর্মী সাজনের পূর্ব বিরোধ ছিল। এ অবস্থায় কৌশলে তারা সাজনকে পোস্ট অফিসের টিলায় এনে রামদা, কিরিছ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। তিনি চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান।
এদিকে, ছাত্রদল কর্মী সাজন আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক ও পাবেল গ্রæপের সিনিয়র নেতা মাহবুব হোসেন জুয়েল।
এ প্রতিবেদকের সাথে সেলফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, সাজন স্কুলে পড়ে। অতএব এ ঘটনাটি রাজনীতিতে জড়ানো জড়িত নয়। তিনি বলেন, থানায় মামলা কিংবা রাজনীতি নয়; সামাজিকভাবে এ ঘটনার নিষ্পত্তি করা উচিত।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) দেলওয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ছাত্রদলের মিছিলে যারা সশস্ত্র ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment