মানবজমিন: নির্দলীয় সরকারের দাবিতে টানা আড়াই মাস ধরে দফায় দফায় হরতাল ও অবরোধের পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের গণসমাবেশ আজ। ৫ই জানুয়ারি একতরফা দশম জাতীয় নির্বাচনের পর রাজধানীতে এটাই তাদের প্রথম সমাবেশ।বিএনপির আনুষ্ঠানিক আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল ১২ শর্তে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। উল্লেখ্য, ১৫ই জানুয়ারি রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সমাবেশের ঘোষণা দেন বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে সারা দেশে গণসমাবেশ করবে বিরোধী জোট। সেদিন খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করেছে, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে চান। এজন্য আমি দেশবাসীকে আবারও অকুণ্ঠ ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। অন্যায়, অবিচার, ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকারের বিরুদ্ধে ৫ই জানুয়ারি নীরব বিপ্লব ঘটানোই বাংলাদেশের মানুষকে ২০শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাবো আমরা। জনগণকে ধন্যবাদ জানাবার জন্য ওই দিন সারা দেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সদরে গণসমাবেশ ও শোভাযাত্রা হবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ওদিকে সারা দেশের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে রাজধানীতে আজকের সমাবেশকে শোডাউনের মাধ্যমে জনসমুদ্রে পরিণত করার নানা প্রস্তুতি নিয়েছে ১৮ দল। সমাবেশে বিপুল জনসমাগম নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর, ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর বিএনপি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, অঙ্গদলের কেন্দ্রীয় কমিটি একাধিক বৈঠক করেছে।
১২ই জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারই রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৮ দলের বৈঠকে হরতাল-অবরোধের পর শান্তিপূর্ণ গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে জোটের শরিক এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দুয়েক দিনের মধ্যেই জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। ১৫ই জানুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের পর ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে জোটের শরিকদলগুলো যৌথসভা করে প্রস্তুতি নেয়। ওদিকে ১৬ই জানুয়ারি অন্যান্য বারের মতো বিএনপির প্যাডেই গণসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যায় ১২ শর্তে অনুমতি গণসমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। এদিকে ১৮দল নয় বিএনপিকেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে সংবাদ প্রচার হয় গণমাধ্যমে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, সমাবেশটি ১৮ দলের নয় বিএনপির। তার এ বক্তব্য প্রচারের পর এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় ১৮ দলে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, কর্মসূচিগুলো ১৮ দলের সভায় আলোচিত এবং আমরা প্রস্তুতিও নিয়েছি। কিন্তু যে কোন নিয়মে, পদ্ধতি বা কারণে গণসমাবেশটি এখন কেবল বিএনপির। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে আমরা সেখানে যোগ দেবো না। তবে ১৮দল নেতৃত্ব মঞ্চে উপস্থিত হোক বা না হোক আমাদের পরিকল্পিত জনসমাগমে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। জোটের আরেক শরিক এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম গণসমাবেশটি ১৮ দলের দাবি করে সেখানে অংশগ্রহণের কথা জানান। এদিকে এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত সারা দেশের গণসমাবেশ ও শোভাযাত্রা এবং ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসমাবেশ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
১২ই জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারই রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৮ দলের বৈঠকে হরতাল-অবরোধের পর শান্তিপূর্ণ গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে জোটের শরিক এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দুয়েক দিনের মধ্যেই জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। ১৫ই জানুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের পর ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে জোটের শরিকদলগুলো যৌথসভা করে প্রস্তুতি নেয়। ওদিকে ১৬ই জানুয়ারি অন্যান্য বারের মতো বিএনপির প্যাডেই গণসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যায় ১২ শর্তে অনুমতি গণসমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। এদিকে ১৮দল নয় বিএনপিকেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে সংবাদ প্রচার হয় গণমাধ্যমে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, সমাবেশটি ১৮ দলের নয় বিএনপির। তার এ বক্তব্য প্রচারের পর এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় ১৮ দলে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, কর্মসূচিগুলো ১৮ দলের সভায় আলোচিত এবং আমরা প্রস্তুতিও নিয়েছি। কিন্তু যে কোন নিয়মে, পদ্ধতি বা কারণে গণসমাবেশটি এখন কেবল বিএনপির। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে আমরা সেখানে যোগ দেবো না। তবে ১৮দল নেতৃত্ব মঞ্চে উপস্থিত হোক বা না হোক আমাদের পরিকল্পিত জনসমাগমে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। জোটের আরেক শরিক এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম গণসমাবেশটি ১৮ দলের দাবি করে সেখানে অংশগ্রহণের কথা জানান। এদিকে এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত সারা দেশের গণসমাবেশ ও শোভাযাত্রা এবং ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসমাবেশ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
No comments:
Post a Comment