আমাদের সিলেট ডটকম:
তিনদিনের আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর বুধবার থেকে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে অবৈধ হকার-স্থাপনা উচ্ছেদে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিটি পয়েন্ট থেকে অভিযান শুরু হয়। পরবর্তীতে জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা-বন্দরবাজার-সোবহানীঘাট-উপশহর রোজভিউ পয়েন্ট পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধ স্থাপনার একাধিক মালিককে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিংয়েরও জন্যও জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন দোকানের সামনের অংশের অবৈধ শেড খুলে নেওয়া হয়, মালামাল জব্দ করা হয়। বিভিন্ন মার্কেটের রাস্তার উপরে চলে আসা অবৈধ সাইনবোর্ড,দোকান কোঠার অবৈধ অংশ,সীমানা প্রাচীরও সরিয়ে ফেলার জন্যও তাৎক্ষনিক-ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযান চলাকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘এই নগরী সকলের। সুতরাং এই নগরীকে সুন্দর ও যানজটমুক্ত করে রাখার দিকেও সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে হকারদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে ফুটপাত এমনকি রাস্তাও প্রায় দখল হয়ে গেছে। এই অবস্থায় নগরবাসীর হেটে চলাচলেরও উপায় নেই। নগরবাসী যাতে এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে পারেন সেজন্য আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছি। আজ থেকে পুলিশ, ম্যাজিস্টেটসহ অভিযান চালাচ্ছি। আশা করি সকলের সহযোগিতা নিয়ে এর একটি সুরাহা করতে পারব।’
দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে সময় লাগবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হকাররা যাতে ফ্রাইডেতে (বন্ধের দিনগুলোতে) একটি নির্দিষ্ট রাস্তায় ব্যবসা করতে পারে সেই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করছি। আশা করছি সংস্লিষ্ট সকল মহলের সাথে আলাপ করে এই ব্যাপারে একটি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনাল এসপি মুহাম্মদ আইয়ুব জানান, তার নেতৃত্বে ৬৫ জন পুলিশ এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নগরীকে সুন্দর রাখার অংশ হিসেবেই এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ আইয়ুব জানান, ‘যদি কোন পুলিশ সদস্য এই ফুটপাত বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তবে তাকে তাৎক্ষনিক-ভাবে সাসপেন্ডসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
অভিযান চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম জানান, ‘কাউকে জরিমানা করা বা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য না। প্রাথমিকভাবে কেউ যাতে ফুটপাত ও রাস্তাঘাট দখল না করে সেইজন্য আমরা তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। পরবর্তীতে যারা এই বিষয়টি লঙ্ঘন করছেন তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি। তিনি বলেন, এই অভিযান একদিন বা দুদিনের জন্য নয়। এটি বছর-জুড়েই অব্যাহত থাকবে। অভিযান চলাকালে ৪টি দোকান ও একটি টেম্পুকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অভিযান চলাকালে সিলেট সিটির সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ, সিটির কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
আল্টিমেটাম শেষ – পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে সিটি মেয়রের অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু
Wednesday, January 22, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment