নতুন বার্তা,চট্টগ্রাম: চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে ১৪ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এ আদেশ দেন।
তাদের মধ্যে আছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহীম প্রমুখ।
অস্ত্র আটকের অপর মামলায় এই ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই মামলার অন্যতম আসামি জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১১ আসামিকে আদালতে নেয়া হয়েছে। এ সময় পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা দেবেন।
এদিকে মামলার আসামি সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের নেতা মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় তাদের চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছানো হয়।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদী তীরে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে এসব অস্ত্র খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ আটক করে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের সর্ববৃহৎ চালান ধরা পড়ার পর দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
রাজনৈতিক চাপসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পরিবর্তনের পর গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সাতটি নির্দেশনার ভিত্তিতে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ ও পঞ্চম আইও হিসেবে সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি মনিরুজ্জামান চৌধুরী এই মামলার দায়িত্ব পান। ১৩ দফা তদন্তের সময় বাড়ানোর পর ২০১১ সালের ২৬ জুন আদালতে মামলা দুটির সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি। এতে নিজামী, বাবর ও এনএসআইর সাবেক দুই প্রধানসহ নতুন ১১ জনের নাম আসামির তালিকায় যোগ করা হয়।
No comments:
Post a Comment