জেল রোড ও মজুমদারীতে ট্রাক চাপায় ১ জন নিহত: আহত ৩

আমাদের সিলেট ডটকম: সিলেট নগরীর জেল রোড ও নগরীর মজুমদারী এলাকায় পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও আরো ৩ জন আহত হয়েছেন। মজুমদারীতে দুর্ঘটনার পর পর বিক্ষুব্ধ জনতা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ট্রাকটি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।

গত রাত ১২টার দিকে নগরীর জেল রোড পয়েন্টে একটি দ্রুগামী ট্রাক যাত্রীবাহী একটি রিক্সাকে চাপা দিলে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন রিক্সা চালকসহ অপর এক যাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টার দিকে নয়াসড়কের দিকে যাওয়ার পথে আরোহীবাহী রিক্সাটিকে চাপা দেয় জিন্দাবাজারের দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী খালি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-২০৭৩)। এ সময় ট্রাক চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রিক্সারোহী পলাশ দাস (৪৫)। আহত হন অজ্ঞাতনামা রিক্সাচালক ও রিক্সার অপর আরোহী মিলন সেন। ঘটনার পর পরই চালক ট্রাক ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে, স্থানীয় জনতা ট্রাকটির হেলপারকে আটক করেন। পরে পলাশ দাস, মিলন সেন ও রিক্সা চালককে ওসমানী হাসপাতালে পাঠান জনতা। ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে সোবহানীঘাট ফাঁড়ির পুলিশ ও কোতয়ালী থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি জব্ধ করে ও ট্রাকটির হেলপারকে আটক করে। আটক হেলপার মোহাম্মদ ইসলাম (৩০) তামাবিলের শান্তিনগর এলাকার সিরাজ মিয়ার পুত্র।

এদিকে, বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টারদিকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে আসা মাল বোঝাই একটি ট্রাক মজুমদারী এলাকায় এক দোকান কর্মচারী কিশোরকে চাপা দিলে ঐ কিশোর গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় জনতা এ সময় ট্রাকটিকে আটকাতে সক্ষম হন। কিন্তু চালক ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

গুরুতর আহত দোকান কর্মচারী শিশুটিকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে মজুমদারী সংলগ্ন বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা। তবে, তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। গুরুতর আহত শিশুটির দুটি পাই ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।