আমাদের সিলেট ডটকম:
ইংল্যান্ডের যে কোনও কাউন্সিলের তুলনায় বেশি সংখ্যক সোস্যাল হাউজ নির্মাণের পুরস্কার হিসেবে সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ ‘হাউজিং বোনাস’ পেয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।
মেয়র লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে টানা দু’বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক সোস্যাল হাউজ নির্মাণের কারণে সরকারের বিশেষ স্কিম থেকে সাড়ে ১৯ মিলিয়ন পাউন্ড অতিরিক্ত বরাদ্দ পাচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ অর্থ বরাদ্দ দেবে সরকার। এর আগের মেয়াদেও প্রায় ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড বোনাস পেয়েছিল টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। ফলে ২০১১ সালের পর থেকে টাওয়ার হ্যামলেটসের মোট বোনাস বরাদ্দ দাঁড়াবে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি।
হাউজিং বিষয়ক ইন্ডাস্ট্রি ম্যাগাজিন ‘ইনসাইড হাউজিং’-সহ বৃটেনের মেইনস্ট্রিম সংবাদ মাধ্যমে টাওয়ার হ্যামলেটসের এ সফলতার খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন কাউন্সিল এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণকে উৎসাহিত করতে ২০১১ সালে সরকার নতুন এ স্কিম চালু করে। সর্বশেষ লীগ টেবিলে বোনাস পাওয়ার দৌড়ে প্রথম স্থানে রয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল; আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী বারা হ্যাকনি কাউন্সিল। এর আগের মেয়াদেও টাওয়ার হ্যামলেটস প্রথম স্থান দখল করেছিল। ওই বছর দ্বিতীয় স্থানে ছিল বার্মিংহাম কাউন্সিল।
মেয়র লুৎফুর রহমান বলেছেন, হাউজিং আমার অন্যতম অগ্রাধিকারভিত্তিক খাত। গত দু’বছরে ইংল্যান্ডে আমরাই সর্বোচ্চ সংখ্যক এফর্ডেবল সোস্যাল হাউজ নির্মাণ করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া সর্বশেষ এ স্বীকৃতি তারই সাক্ষ্য বহন করে। নতুন বাড়ি নির্মাণে শীর্ষ স্থান দখল করেই আমাদের কাজ শেষ নয়, নতুন বরাদ্দ পাওয়া অর্থ আমরা ভবিষ্যতের বিনিয়োগে ব্যবহার করব।
সমপ্রতি টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার ওশেন এস্টেটে ৮০০ নতুন ঘর নির্মাণ করার পাশাপাশি পুরনো ঘরের জায়গায় নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ব্ল্যাকওয়েল রিচ এলাকায় বাস্তবায়নাধীন রবিনহুড গার্ডেন রিজেনারেশন প্রকল্প শেষ হলে সেখানে ১৬শ নতুন ঘর পাওয়া যাবে; যার মধ্যে ৭০০ ঘরই যাবে সোস্যাল হাউজিংয়ের আওতায়। নতুন ঘর নির্মাণের পাশাপাশি কাউন্সিলের মালিকানাধীন ঘরগুলোকে ডিসেন্ট স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করার কাজও করছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। ১৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড বাজেট নির্ধারণ করে কাউন্সিলের ঘরগুলোর কিচেন, বাথরুম সংস্কারসহ ঘরের ডাবল গ্লেজিংয়ের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতি বছর নতুন এক হাজার ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেয়র লুৎফুর রহমান। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত তিন বছরে তিনি প্রায় ৩২৬০টি ঘর নির্মাণ করেছেন। মেয়র হিসেবে চলতি মেয়াদ শেষ করার আগ পর্যন্ত নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্য পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ লুৎফুর রহমান।
বৃটেনের যে কোন কাউন্সিলের চেয়ে বেশী গৃহনির্মাণ করায় পুরস্কৃত হলেন লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস্ মেয়র লুৎফুর রহমান
Friday, January 10, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment