এমদাদুর রহমান মিলাদ: বিশ্বনাথে নির্বাচন পরবর্তী সহিংতায় ‘লাঙ্গল’ প্রতিকের সমর্থক (আ’লীগ-যুবলীগ) ও যুবদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে উপজেলার কাইয়া-কাইড় (নতুনবাজারে) নামক স্থানে। এসময় যুবদল নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ২ নেতাকর্মী। অন্যদিকে, যুবদল দাবী করছে, আ’লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রদল-যুবদলের ৫জন আহত হয়েছেন। একপক্ষের আহতরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ মিয়া (৩৫) ও যুবলীগ কর্মী বাচ্চু মিয়া (২৫)। অপর পক্ষের আহতরা হলেন- ছাত্রদল নেতা বাদশা মিয়া (২৩), যুবদল নেতা কপি মিয়া (৩৫), সাহেল (২৫), বাবুল (২৩), কামাল (২৮)। আহতদেরকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কা হয়েছে বলে জানা যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় আতংকে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এদিকে, এঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গত রবিবার নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামীলীগ নেতা আমজাদ মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। সোমবার সকালে হরতালের সমর্থনে নতুনবাজারস্থ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং ও বিক্ষোভ করতে থাকেন যুবদল নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টায় আমজাদ মিয়া গংরা পিকেটিং-এ বাঁধা দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় একপর্যায়ে যুবদল নেতাকর্মীরা আমজাদ মিয়ার উপর হামলা চালালে আমজাদ মিয়া ও যুবলীগ কর্মী বাচ্চু মিয়া আহত হন। এসময় উভয় পক্ষের লোকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা আমজাদ মিয়া বলেন, গতকাল (রবিবার) আমরা ইকবালপুর-ধীতপুর ভোট কেন্দ্র্রে ভোট দিতে যাবার পথে কপি মিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা ভোটারদের বাঁধা প্রদান করলে তাদের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। আজ (সোমবার) আমি বাজারে গেলে কপি মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি ও যুবলীগ কর্মী বাচ্চু আহত হই। এসময় আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ছাত্রদল নেতা বাদশা মিয়া বলেন, আমরা হরতালের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে ফেরা পথে আওয়ামী লীগ নেতা রুকন এর নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমরা বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করি। তাদের হামলায় আমিসহ ৫জন আহত হই। আমাদের উপর আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
এদিকে, সংঘর্ষের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী ’লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে আফছর আলী, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী সেলিম, আহাদ আলী, ওয়ারিছ আলী, শাহিন, সেলিম, শামিম, সিদ্দেক, ছালেক, সাহেদ, মিজান, নুরউদ্দিন, আফছর, কছির ও সৈয়দ মিয়াসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহ সভাপতি সামসুজ্জামান সমছু চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, সাংগঠনির সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া চেয়ারম্যান, দপ্তর সম্পাদক বশির আহমদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বয়ক আহমেদ নুর উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বয়ক মোঃ কাওছার খান, ছাত্রদলের আহ্বয়ক শামসুল ইসলাম, শ্রমিক দলের আহ্বয়ক মনির মিয়া প্রমুখ।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: বিশ্বনাথে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় আ’লীগ নেতাসহ আহত ৮
Monday, January 6, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment